হাসির জোকস, হাসির কৌতুক,Funny Bangla Jokes,বাংলা জোকস |
বাংলা হাসির জোকস – মা ও মেয়ে – Funny Bangla Jokes - Mother and Daughter
- - - - - - - - -
- মা মনি আজ একটা
গল্প বলো না!
- শোন ঢাকার বাসে
মানুষকে বাদুড় ঝোলা ঝুলতে দেখে এক ক্যাঙ্গারুর শখ হলো সে ও বাসে চড়ে ঝুলবে এবং তিন
নাম্বার বাসে সে উঠেও গেল। বাস থেকে নামার সময় ক্যাঙ্গারুটা দেখল, তার পেটের পকেটের বাচ্চাসহ সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।
- - - - -
মা - আর বলবেন না মেয়েটা যা হয়েছে না একেবারে
গানের পাগল। দেখুন না, বাড়িতে নতুন অতিথি
এলে আমাদের সায়ন্তি সারাদিন তাকে গান শোনাবেই। তাই সে এখন আপনাকেও গান শোনাবে। কই
সায়ন্তি শুরু করো মা। সায়ন্তি হেড়ে গলায় গানের নামে চিৎকার শুরু করল। অতিথি কানে
হাত দিয়ে উঠে দাঁড়াল।
অতিথি- এই মেয়ে তোমার গলাতো মোটেও ভালো নয়,
তুমি গান করো কেন?
সায়ন্তি - আমি তো গাইতে চাই না, তবে আমার অনাহুত অতিথি এলে তাকে তাড়াতে মাঝে মাঝে আমাকে গান গাইতে হয়...
আরেকটা গাইবো?
- - - - -
মেয়ে তৈরি হয়েছে বাহিরে যাবেন
মায়ের কাছে এসে বলল,
মেয়ে - মা আমাকে দশটা টাকা দাও তো।।
মা - কি... মিন মিন
করে কথা বলিস মোটে শুনা যায় না, জোরে বল?
মেয়ে - মা পঞ্চাশটা টাকা দাও...এখুনি।
মা- আগেরটাই তো ভালো ছিলরে বেটি।
- - - - -
মেয়ে - মা ভাগ্যিস এডিসন ইলেকট্রিক বাল্ব আবিষ্কার
করেছিল। তা না হলে...
মা – তা না হলে,
কি হতো? মেয়ে- মোম জ্বালিয়ে
টিভি দেখতে হতো না?
- - - - -
-বলত মা, বিড়াল আর দুধ থেকে
আমরা কী পাই?
- পারছি না মা,
কী?
- দুটো থেকেই তো
আমরা ছানা পাই।
- - - - -
- কী রে টুম্পা
গানের স্যারের সাথে কথা বলেছিস?
- বলেছি মা,
তিনি বলেছেন প্রথম মাসে তিনশো দ্বিতীয় মাসে দুশো তারপর তৃতীয় মাস থেকে
একশো টাকা করে নিবেন।
- ঠিক আছে তুই
তৃতীয় মাস থেকেই শুরু কর।
- - - - -
মা – কিরে সুমনা অসময়ে
বিছানায় শুয়ে আছিস কি ব্যাপার?
সুমনা – শরীর খুব খারাপ
মা, নড়তে পারছি না।
মা – চল ডাক্তারের
কাছে যাই।
সুমনা - আজ যাব না মা দেখি কাল ভালো হলে তবে
যাব।
- - - - -
- তুমি কী ভাবছো?
- ভাবছি মানুষ
মরলে সবাই মিলে কবর দিয়ে আসে। কিন্তু সবার শেষে যে লোকটি মরবে তাকে কবর দিবে কে?
- তাইতো মা?
- - - - -
মা - আঙ্গুল চুষো না মা।
মেয়ে – আঙ্গুল চুষলে
কি হয় মা?
মা -পেট ফুলে ইয়া ঢোল হয়ে যায়।
(প্রতিবেশী গর্ভবতি মিসেস তুলির প্রবেশ)
মেয়ে -এই যে আন্টি, আমি
কিন্তু জানি আপনার পেট কেন ফুলেছে.....।
- - - - -
- মা বইতে লিখেছে
জীবে দয়া করো এটা সব জীবের ক্ষেত্রে করতে হবে।
- হা মা।
- মশার ক্ষেত্রেও?
- না মা মশার ক্ষেত্রে
কখনও না।
- - - - -
- মা বাঘের চামড়াতে
ভিতর দিকেও কী ডোরা কাটা থাকে।
- সেটা দেখার জন্যই
তো শিকারিরা বাঘ শিকার করতে যায়।
- - - - -
- মা বিদেশী গরু
আর আমাদের গরুর মধ্যে পার্থক্য কী?
- বিদেশী গরুদের
হাড় কম মাংস বেশি, দেশী গরুদের মাংস কম হাড় বেশি।
- - - - -
মেয়ে – আচ্ছা মা মোরগ
তার বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায় না কেন?
মা - মোরগরাও তোর বাবার মতোই পুরুষ। আর কোনো
পুরুষই তার বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায় না।
- - - - -
মেয়ে - আচ্চা মা বাঘের দুধ তো মনে হয় কেউ খেতে
পারে না তাই না?
মা - কেন পারবে না?
মেয়ে - বাঘের দুধ তাহলে কে খায়?
মা – কোনো,
বাঘের বাচ্চারা।
- - - - -
মেয়ে – প্রাচীন কালের
প্রাণীর কঙ্কাল পাওয়া গেছে এর অর্থ কী মা?
মা - এর অর্থ হচ্ছে, আগেকার দিনের প্রাণীর শরীরের ভিতরের অংশ পাওয়া গেছে, বাইরেরটা পাওয়া যায় নি।
- - - - -
মা – আজকে দুধে ছানা
কাটল কেন বুঝতে পারছি না।
মেয়ে - মা আমি না তোমার জ্বাল দেয়া দুধে একটু
তেঁতুল ফেলে দেখতে চেয়েছিলাম কী হয়।
- - - - -
মেয়ে ছাগলি - মা আমি না সব কিছু অন্ধকার দেখছি।
মা ছাগলি - কেন কী খেয়েছিলি?
মেয়ে ছাগলি - ঘাসের সাথে একটি কাগজ খেয়ে ফেলেছিলাম।
মা ছাগল - কীসের কাগজ ছিল সেটা?
মেয়ে ছাগল - মনে হয় ইলেকট্রিকের বিল।
- - - - -
মেয়ে – বিজ্ঞানীরা এত
কিছুর বিডিং করাতে পারে, জোনাকির সাথে মশার ক্রস বিডিং করাতে
পারে না মা?
মা - তাতে কী লাভ হবে রে মা?
মেয়ে – তখন মশা কামড়াতে
এলে বাতি জ্বলে উঠত আর কোথাও লুকিয়ে থাকলেও বেশ দেখা যেতো।
- - - - -
মা - বলত শুপ্তি, হাতি
আর উকুনের মধ্যে কে বেশি শক্তিশালী?
মেয়ে - কেন মা উকুন।
মা- উকুন!
মেয়ে- উকুন মানুষের মাথায় চড়ে মানুষকে যেভাবে
অতিষ্ঠ করে তুলে হাতি কী সেটা পারে মামনি?
- - - - -
মেয়ে - আচ্ছা মা, বাবা যখনই রাগ করে বাইরে চলে
যায় আর তুমি টুপ করে তাকে ধরে নিয়ে আসো, খুঁজে পাও কীভাবে?
মা - তোর লেখক বাবার লুকানোর জায়গা তো একটাই।
তোর বাবার প্রকাশকের দোকান।
- - - - -
মা - ছেলেদের কখনও ভয় পাবি না। একদম ওদের চোখে চোখে তাকাবি।
মেয়ে – কিন্তু মা আমি
যে ট্যারা।।
- - - - -
মেয়ে – দেখেছো মা প্রকৃতির
কী বিচিত্র খেয়াল।
মা - কী এমন কিছু দেখলিরে মা জন্তু জানোয়ারদের
মধ্যে?
মেয়ে - দেখো মা সব পশুর লেজ পিছনের দিকে কিন্তু
হাতির লেজ থাকে সামনে।
- - - - -
মা - কী রে জু, এত কিছু থাকতে তোর পিঁপড়া
পোষার শখ হলো কেনরে?
মেয়ে – না মা তা বলা
যাবে না, বললে আমার গোপন ফাঁস হয়ে যাবে।
মা – আহ্ বল না বললে
যে মিষ্টিটা লুকিয়ে রেখেছি সেখান থেকে দুটো তোকে দেবো।
মেয়ে - মা তুমি মিষ্টি কোথায় লুকিয়েছো আমার
পিঁপড়েগুলি আমাকে আগেই তা দেখিয়ে দিয়েছে।
- - - - -
মা – কী পড়ছিস কান্তা?
কান্তা - প্রাণী বিজ্ঞান মা।
মা - কী শিখলি?
মেয়ে – প্রাণী জগৎ দুইভাগে
ভাগ করা যায়। এটা হলো নিরীহ প্রাণী আর একটি হলো হিংস্র প্রাণী।
মা – বুঝলাম উদাহরণ
দে। মেয়ে- নিরীহ প্রাণী হলো বাঘ, সিংহ
সাপ, গন্ডার এরা জঙ্গলে থাকে মানুষের ক্ষতি করে না। আর হিংস্রপ্রাণী
হলো, কুকুর হাস মুরগি এরা মানুষের বাড়িতে থেকেও মানুষকে ঠুকরায়
কামড়ায়।
- - - - -
- এই নিশি কাঁদছিস
কেন? কে কী বলেছে নাম বল। দেখ ওর কী অবস্থা করি।
- বাবা বকেছে।
- ওহ তোর বাবা।
তোর বাবাতো কারণ ছাড়া কখনও কিছু করে না। কী করেছিলি?
- দাঁত মাজিনি।
- এখন আমিও তোকে
মারবো।
- - - - -
মা-মেয়েকে মাফলার বুনতে শিখিয়েছে স্কুল
বন্ধের সময় একদিন মেয়ে সমানে মাফলার বুনেই চলেছে।
- কী রে এত লম্বা
সোয়েটার কার জন্য বুনছিস মা মনি?
- এই যা কত লম্বা
হয়ে গেল! এটা মনে হয় এখন জিরাফকে পড়াতে হবে মা।
- - - - -
- মা পিঁপড়েটা
একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন?
-ওটা হলো গোয়েন্দা
পিঁপড়ে।
- - - - -
মেয়ে - বল তো একটি কার্পেট ফ্লোরকে কি বলে?
মা – জানি না তো মা?
মেয়ে - ফ্লোর তুই যেখানেই যাস না কেন আমি তোকে
কাভার দেবোই।
- - - - -
মা - একটি আধুলি আরেকটি আধুলি একসাথে হয়ে
কী হয় জানো?
মেয়ে - ওরা দুজনে মিলে টাকা হয়ে যায়।
তাই না মা?
- - - - -
মেয়ে – মা, মা, আমি না প্রতি রাতে বাজে আর ভয়ঙ্কর
স্বপ্ন দেখি। কীভাবে মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন দেখা যায়? একটা উপায় বলে দাও না?
মা – উপায় একটা আছে।।
মেয়ে – কি সেটা মা?
মা –ঘুমাবার আগে মুখে ভালো
করে চিনি মেখে ঘুমাবি।
- - - - -
মা – ঐ ইংলিশ
মিডিয়ামের ছেলেটি তোর হাত ধরল, তুই তাকে ধমক দিলি না কেন?
মেয়ে - কীভাবে ধমক দেবো? ধমক দিলেই ও বুঝে যেতো যে আমি ইরেজিতে কাঁচা?
- - - -
মা - আচ্ছা হৃদীমনি, আমার কাছে ৪টি চকলেট ছিল, ১টি আদিলকে, ১টি আয়েশাকে আর ১টি রাবেয়াকে দিলাম, তুমি কি পেলে?
মেয়ে – আমি তা হলে নতুন
তিনটি বন্ধু পাবো।।
- - - - -
মা – আমেরিকানরা এবার
বুঝি মঙ্গর গ্রহেও পা রাখতে যাচ্ছে রে সুমি।।
সুমি-তাতে কি, চিন্তা
করবা না, আমরা রাতের বেলা সোজা সূর্যে পাড়ি জমাবো।
মা - রাতের বেলা যাবি কেন?
সুমি- দিনে কেমন তাপ থাকে দেখো না।
- - - - -
মা - জানিস তোর বাবা আমার সাথে আজ ছয় মাস
একটিও কথা বলে না।
উকিল মেয়ে - তুমি তো মহা দূর্ভাগা, তোমার প্যানপ্যানানী তবে কে শুনে?
মা - বাবা বিয়ে করে আমি ভুল করেছি...তুই কিন্তু সেই ভুল করিস না মা।
মেয়ে - তুমি কোন চিন্তা করো না মা আমি ঠিকই
আমার মেয়েকে তোমার এই উপদেশ দেবো।
- - - - -
মা আর মেয়ে হাঁটছিল, মেয়েটির সাথে ওর ক্লাসের একটি ছেলের
দেখা,
- মহিলাটা তোর
কি হয়রে..সাথী?
- ইনি আমার বাবার
স্ত্রী।
- মানে...?
- মানে ইনি আমার
বাবার একমাত্র আপন স্ত্রী, কী বুঝলি?
- কিছু বুঝলাম
না।
- - - - -
মধ্যবিত্ত এক বাড়িতে প্রতিবেশী
এক অতিথি এলো সে দুপুরে না খেয়ে উঠলো না। খেলো তো খেলো কারও জন্য কিছু না রেখে সবই
খেয়ে নিল। একটা বাচ্চা মেয়ে ছিল সেও কিছু খেতে না পেয়ে কাঁদতে বসে গেল। মেয়েটির
মা তাড়াতাড়ি মেয়েটিকে বলল,
মা – এত তাড়াতাড়ি
কাদিস না, অতিথি চলে যাক তখন আমরা সবাই মিলে একসাথে বসে বসে কাদবো।
- - - - -
একটি লেডিস টয়লেটে ঢুকে একটি
তরুণী মেয়ে মনের দুঃখে লিপিষ্টিক দিয়ে দেয়ালে লিখল, আমার মা সব জায়গায় আমাকে ফলো করে। ঠিক
তার নিচে কিছুক্ষণ পরে আর একটি লেখা দেখা গেল, কক্ষনো না,
আমি কখনওই আমার মেয়েকে ফলো করি না।
- - - - -
মা বাড়িতে একা একা বসে থেকে
স্বামীর প্যাকেটে একটি সিগারেট দেখে সিগারেট কেমন টেস্ট করতে গেলো। এমন সময় মেয়ে তনিমা বাইর থেকে এসে ঘরে
ঢুকে মায়ের হাতে জ্বলন্ত সিগারেট দেখে ফেলল, মেয়ে -
মা তুমি সিগারেট খাচ্ছো?
মা – না মানে তোর বাবাকে
ধরিয়ে দিচ্ছিলাম।
মেয়ে – কিন্তু বাবাতো
এখন বাইরে।
মা - সারা জীবন কী আর বাইরে থাকবে ঘরে আসবে
না?
মেয়ে – কিন্তু সে তো
রাত দশটায়?
মা -তোর বাবা ফিরে এসে যাতে সিগারেট না পায়
সে জন্য এটা জ্বালিয়ে শেষ করে দিলাম।
- - - - -
মা - এই মিতু সত্যি করে বল টাকাটা কী তুই
আলমারি থেকে সরিয়ে নিসনি?
মেয়ে - এতক্ষণ তো আমিও তাই জানতাম কিন্তু এখন
তোমার জেরার ধরণ দেখে নিশ্চিতভাবে মনে হচ্ছে কাজটি আমিই করেছি।
- - - - -
- মিনুরে,
তোর চোখ তো বেশ ভালো, চাল থেকে পাথরগুলো বেছে দে।।
- মা, আমার চোখের চেয়ে দাঁতগুলো আরও বেশি ভালো, আমি পাথর সহ
খেয়ে ফেলবো..আমার জন্য চিন্তা করো না।
- - - - -
মেয়ে – মা, মা, এই যে টিভির দোকান চল।।
মা - ভাই আপনাদের দোকানে কি রঙিন টিভি আছে?
বিক্রেতা - অবশ্যই আছে।
মেয়ে – আমাদেরকে একটা
বাদামী কালারের টিভি দেন তো।
- - - - -
মা- হায় হায় ঝর্ণা তুই কি করলি?
একশো শত বছরের পুরানো ফুলদানিটা তুই ভেঙ্গে ফেললি?
মেয়ে – এত পুরানো জিনিস!
আমি ভয় পেয়েছিলাম ফুলদানীটা নতুন কেনা মনে করে।
- - - - -
মা আর মেয়ে আলাপ করছে -
মা - জানিস ছোট বেলায় একদিন মাঠে খেলতেছিলাম,
হঠাৎ করে একটা ট্রাক এসে আমাকে স্বজোরে ধাক্কা দিলে আমি জ্ঞান হারিয়ে
পড়ে গিয়েছিলাম।
মেয়ে – জ্ঞান হারিয়ে
পড়ে গিয়ে তুমি কী মরে গিয়েছিলে মা?
মা - অনেক ছোট বেলার কথাতো এখন আর ঠিক মনে
নাই।
- - - - -
মা – আচ্ছা জুই বলত
মা সব চেয়ে দ্রুত খবর পৌছাতে পারে কোন মাধ্যমে এবং খরচ ও কষ্ট ছাড়া।
মেয়ে - কেন মা মোবাইল, বেতার, টিভি এসব মাধ্যমে।
মা – নারে মা না,
মেয়েমানুষ হলো সেই মাধ্যম, কোন তথ্য দিয়ে শুধু
বলে দিলেই হলো কাউকে না বলতে, তবেই দেখবি, সেকেন্ডের ভিতরে নিঃখরচায় সে খবর সে সব জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে।
- - - - -
মা – এই শীলা তুই কাঁদছিস
কেন?
মেয়ে - না মা বলতে পারবো না।
মা - বল না মা আমি না তোর বন্ধুর মতো। আর
মাকে সব বলা যায়।। এখন বল কাঁদছিস কেন?
মেয়ে - স্বামীর জন্য।
মা – কিন্তু,
তোর তো এখনও বিয়েই হয়নি?
মেয়ে – সে জন্যেই তো
কাঁদছি মা।
- - - - -
মেয়ে- বনের রাজা সিংহ বুঝি কাউতেই ভয় পায়
না?
মা – জানি শক্তিমান
সিংহ কোন কিছুকে ভয় না পেলেও একজন কে ভীষণ ভীষণ ভয় পায়।
মেয়ে - সেই একজনটা কে মা?
মা – কেন, সিংহী।
- - - - -
মা – জিনাত তুমি কুকুরের
লেজ ধরে টানাটানি করছ কেন মা?
মেয়ে - আমি তো মা শুধু কুকুরের লেজটা ধরে রেখেছি,
কুকুরটাই এমন করছে।
- - - - -
ড্রয়িংরুমে ভর দুপুরে বাবা তার
বন্ধুদের নিয়ে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছে, মা মেয়ে কিছুতেই ঘুমাতে পারছে না। তাই ছোট মেয়েকে মা পাঠাল তার
বাবার কাছে। মেয়ে বাবার কানে কানে কিছু বলতে গেল, বাবা – না কানে কানে
না, কানে কানে কথা বলা আমি পছন্দ করি না,
মেয়ে - আম, আম...
বাবা - কী আম আম করছিস জোরে ...আরও জোরে বল মা।।
মেয়ে – সত্যি জোরে বলব
বাবা?
বাবা – হ্যা মা কান ফাটিয়ে
দিয়ে বল,
মেয়ে - (জোরে) মা জানতে
চাইছে তোমার চাপাবাজ বন্ধুরা কখন যাবে?
আরো বলেছে সে এখন ঘুমাবে।
- - - - -
মেয়ে - আমার পেন্সিলটা কোথায় মা মনি?
মা - আরে বাহ্ পেন্সিলটা দেখি তোর কানে গুজা।
মেয়ে – আহ! সময় নষ্ট করো না মা, পেন্সিলটা আমার কোন কানে তাড়াতাড়ি বলে দাও।
- - - - -
- মা আমিও মিষ্টি
খাবো।
- অপেক্ষা করো
মা, মেহমান ভদ্রতা করে যেটুকু রেখে যাবেন, তুমি সেটুকু খেয়ে নিও।
- মা মা মেহমান
তো প্লেটে কিছুই রাখলেন না, ভদ্রতাও তো খেয়ে নিলো।
- - - - -
মেয়ে – মা তোমাদের গ্রামে
এখন মশা কেমন।
গ্রাম্য মা - কেমন আবার আগের মতোই।
মেয়ে – না, না, মা আমি জানতে চাইছি উৎপাত কেমন?
গ্রাম্য মা - উৎপাত! মশাতো কারও
বাড়িতে চুরি ডাকাতি ছিনতাই এমন কোন কাজ করেছে বলে তো শুনি না রে মা।
- - - - -
মেয়ে - জানো মা
আমি না খুবই দ্রুত ইংলিশ বলতে পারি।
মা – তাই নাকি শ্রেয়া?
খুব দ্রুত ইংলিশ বল তো মা?
মেয়ে – ইংলিশ-
ইংলিশ- ইংলিশ- ইংলিশ...।
- - - - -
মা - কমিশনার সাহেব অফিসে আছেন?
কেরানি - কেন কি দরকার তাকে?
মেয়ে – কলেজে আমার একটা
চারিত্রিক সাটিফিকেট দরকার।
কেরানি - একমাস পড়ে আসেন ওনি নারী ঘটিত মামলায়
জেলে আছেন।
- - - - -
মেয়ে – মা মা জানো আপু
না অন্ধকারেও দেখতে পায়।
মা-তুই কীভাবে বুঝলি?
মেয়ে – লোড শেডিংএর সময়
বারান্দায় অন্ধকারের ভিতরেও রাস্তাতে কার সাথে যেন কথা বলে।
মা – বুঝেছি! বড়ো হলে তুইও
অন্ধকারে দেখতে পাবি।
- - - - -
মেয়ে - আগের স্টেশনের নামটা
কি মা?
মা - বিরক্ত করছিস কেন? দেখছিস না আমি পড়ছি? আর স্টেশনের নাম জেনে তোর দরকারটা
বা কি?
মেয়ে - আমার কোন দরকার নেই তবে তোমার দরকার লেগে
যেতে পারে।
মা- কেন কেন?
মেয়ে –আব্বু ওখানে নেমেছিল আব্বুকে
আর গাড়িতে উঠতে দেখিনি।
- - - - -
(নতুন বিয়ে দিয়েছে
এমন মেয়েকে)
মা – হ্যারে কলি,
রাতে ঘুমুবার সময় তোর বর কী নাক ডাকে?
মেয়ে - না, বলতে পারবো
না। বিয়ে হয়েছে মাত্র এক-সপ্তাহ, এর মধ্যে
একদিনও ওকে রাতে ঘুমাতে দেইনি।
- - - - -
মেয়ে – আচ্ছা মা রাতে
সূর্য দেখা যায় না কেন?
মা - কী জানি রাতে অন্ধকার থাকে বলেই হয়তো....
- - - - -
মেয়ে – ঘাস খেলে কী দৃষ্টিশক্তি
বাড়ে মা?
মা - হয়তো বাড়ে।
মেয়ে -বুঝেছি সে জন্যই তো মা একটা গরু ছাগলের
চোখেও চশমা দেখা যায় না।
- - - - -
মেয়ে - মুরগিটা ডিম পেড়ে এমন কক কক্ করে কেন।
মা - মুরগিটা ডিম পেরে মালিকতে জানিয়ে দেয়
যে সে ডিম পেরে বিশাল একটি কাজ করে মালিককে দশটাকা ইনকামের বন্দোবস্ত করে দিয়েছে।
- - - - -
- মা আকাশটা এত
উঁচুতে কেন?
- আকাশ উঁচুতে
না হলে বড় বড় বিল্ডিংগুলো আকাশে ঠেকে যেতো না?
- তাইতো, বিমানইবা
উড়তো কেমন করে?
- - - - -
- মা আমরা যেমন
এক অপরকে জানোয়ার বলে গালি দেই পশুরাও কী তেমনি গালাগাল করে?
- করে না আবার
অবশ্যই করে।
- ওরা কী বলে গালাগাল
করে মা?
- ওরা গালাগালিতে
বলে, তুই কিছুতেই জানোয়ার হতে পারিস না তুই একটা মানুষের বাচ্চা।
- - - - -
- ডিম কাকে বলে
মা?
- খোসার ভিতরে
পাখির লুকানো ছানা।।
- - - - -
- মা তোমার মাথা
কেমন যেন খালি খালি লাগছে?
- হা রে মা চুল
উঠে যাচ্ছে চিন্তায়।।
- কীসের চিন্তায়
মা?
- চুল উঠে যাবার
চিন্তায়রে মা।
- - - - -
শহরের মা-মেয়ে গ্রামে এসেছে ওরা কেউ কখনও জোনাকি
পোকা দেখেনি। রাতে ঘুমাবার সময় একটা জোনাকি পোকা ওদের মশাড়ীর ভিতরে ঢুকে গেল।
- ওটা কী মা, আলো
জালছে আবার নিভাচ্ছে?
- ওটা মনে হয়
গ্রামের স্পেশাল মশা। বাতি জ্বালিয়ে আমাদের খুঁজছে।
- - - - -
- মা এটা কী জিনিস
ঝি ঝি করে ডাকছে?
- ওটা ঝি ঝি পোকা।
- ওহ বুঝেছি, ওটাই বুঝি মানুষের পায়ে ধরে।
No comments:
Post a Comment