![]() |
Funny Short Story,translated story,মজার গল্প,short story,অনুবাদ গল্প,ছোট গল্প,A COSMOPOLITE IN A CAFÉ - O. Henry - Translation,ও. হেনরি |
Original Text
- - - - - - - - - - - - - - - -
এই
মাঝরাতেও
কাফেটা
দেখতে
লোকে
পরিপূর্ণ
লাগছিল।
কোন
এক
অজানা
কারনে
আমার
টেবিলটি
যারা
কাফেতে
প্রবেশ
করছিল
তাদের
চোখে
পড়ছিল
না।
আমার
সামনের
খালি
কেদারা
দুটি
আতিথেয়তা
করার জন্যে
দুই
হাত
প্রসারিত
করে
বসেছিল।
এর
পরেই
তাদের
একটিতে
একজন
বিশ্ব
নাগরিক
ধরনের
ভদ্রলোক
এসে
বসলেন।
আমি
আনন্দিত
ছিলাম
কারন
আমি
একটা
জিনিস
বিশ্বাস
করতাম
আদম(আঃ)
এর
পর
থেকে
এখন
পর্যন্ত
সত্যিকারের
বিশ্বনাগরিকের
কোন
অস্তিত্ব
নেই।
আমরা
প্রায়ই
এদের
কথা
শুনি।
অনেকের
লাগেজে
সব
বিভিন্ন
দেশের
লেবেল
লাগানো
দেখি
কিন্তু
তারা
আসলে
ভ্রমনকারী,
কেউই
ঠিক
আন্তর্জাতীয়
(Cosmopolite) নয়। এই
ফাকে
আমার
আশেপাশের
পরিবেশ
সম্পর্কে
আপনাকে
বলে
নিই।
মার্বেল
দিয়ে
বাঁধানো
সব
টেবিল।
তার
চারধারে
চামড়ায়-মোড়া
চেয়ার
সাজিয়ে
রাখা।
চারদিকে
খুশি
বইছে।
মেয়েদের
পরনে
বিচিত্র
রঙের
পোশাক।
কথা
বলছে
তারা
অদ্ভুত
ছন্দ
বজায়
রেখে।
মিষ্টি
বাজনা
বাজছে।
হাসি
আর
হুল্লোড়। কথার
তোড়,
কথার
কবিতা।
আমাকে
মৌচ
চাঙ্ক
(Mauch
Chunk) নামের
একজন
ভাস্কর
বলেছিলেন,
নিখুঁত
প্যারির
ছাপ
এই
কাফেতে।
আমার
এই
কসমোপোলাইট
ভদ্রলোকের
নাম
ই
রাশমোর
কগলান
(E.
Rushmore Coglan), পরের
গ্রীষ্মে
একে
কনি
আইল্যান্ডে
(Coney
Island) দেখা
যাবে।
তিনি
অভিজাত
চালে
আমাকে
বললেন
যে,
সেখানে
তিনি
একটা
নতুন
আকর্ষণ
সৃষ্টি
করতে
চান।
তারপর
তিনি
সারা
পৃথিবী
নিয়ে
গল্প
করতে
শুরু
করলেন।
বলতে
গেলে
সারা
পৃথিবীই
তাঁর
হাতের
মুঠোয়। পৃথিবী
তার
কাছে
এখন
একটা
আঙুরের
বীজের
চেয়ে
এমন
কিছু
বড়
নয়। বিষুবরেখা
সম্পর্কে
তার
প্রবল
বিতৃষ্ণা।
এ-মহাদেশ
থেকে
সে-মহাদেশ,
এ-দেশ
থেকে
সে-দেশে
তিনি
লাফিয়ে
লাফিয়ে
বেড়িয়েছেন।
সমস্ত
সমুদ্র
তার
চেনা
হয়ে
গেছে।
এ-মুহূর্তে
হাত
নেঅডে
তিনি
হয়ত
হায়দ্রাবাদের
এক
বাজারের
কথা
তুললেন।
তারপরই
হয়ত
এল
ল্যাপল্যান্ডে
স্কি-খেলার
কথা।
কেয়ালাইকাহিকিতে
কানাকার
(Kanakas
at Kealaikahiki) সাথে
ঘুরে
বেড়াচ্ছেন
তিনি।
তারপরেই
হয়ত
তাকে
দেখা
গেল
আরকানসাসে
(Arkansas)। এর
পরেই
তিনি
শুরু
করলেন
ভিয়েনার
আর্চডিউকদের
(archdukes) কথা। তারপরেই
তিনি
বললেন
কী
করে
শিকাগো
(Chicago) হ্রদের ঠাণ্ডা
বাতাসে
তার
একবার
ভীষণ
সর্দি
লেগেছিল।
আর
সে
সর্দি
কী
করে
বুয়েনস
আয়ারসের
(Buenos
Ayres) এক
বুড়ো
এসকামিলা
(old
Escamila) চুচালার
আগাছার
(infusion
of the chuchula weed) দিয়ে
ভালো
করে
দিয়েছিল।
কথা
শুনে
মনে
হয়
তার
কাছে
চিঠি
লিখতে
হলে
এই
ঠিকানায়
লিখতে
হবে
:
ই.
রাশমোর
কগলান,
এস্কয়ার
(Esq.), পৃথিবী, সৌরগ্রহ, অনন্ত
বিশ্বজগৎ।
তা
হলেই
শুধু
তিনি
চিঠি
পাবেন
বলে
আশা
করা
যায়। আমি
এ-বিষয়ে
নিশ্চিত
যে
বাবা
আদমের
পরে
এই
প্রথম
একজন
কসমোপোলাইট
মানুষের
দেখা
আমি
পেয়েছি।
আমি
তার
গল্প
শুনতে-শুনতে
শুধু
ভয়
করছিলাম,
এই
বুঝি
একজন
সাধারণ
বিশ্বভ্রমণকারীর
পর্যায়ে
তিনি
পড়ে
গেলেন।
কিন্তু
সেদিক
দিয়ে
তিনি
ঠিক
ছিলেন।
প্রত্যেকটা
শহর,
রাজ্য,
মহাদেশ
সম্বন্ধে
নিরপেক্ষভাবে
মতামত
প্রকাশ
করছিলেন
তিনি।
ই.
রাশমোর
কগলানের
গল্প
শুনতে
শুনতে
আর-একজন
প্রায়
আন্তর্জাতীয়
চরিত্রের
লোকের
কথা
মনে
পড়ে
আমার
খুশি
লাগল।
তিনি
বোম্বেতে
থাকতেন,
কিন্তু
সারা
পৃথিবীর
জন্যে
লিখতেন।
একটা
কবিতায়
তিনি
লিখেছিলেন
যে,
‘পৃথিবীর
প্রত্যেকটা
শহর
পরস্পরের
প্রতিদ্বন্দ্বী
এবং
তাদের
ভেতরে
অহমিকা
আছে।
এক-একটা
শহরের
নাগরিকেরা
জন্ম
নেবার
পর
নানা
জায়গায়
ঘোরে
কিন্তু
শেষতক
আবার
ফিরে
আসে
তার
নিজের
শহরেই।
এ
যেন
ঠিক
একটা
ছোট
ছেলে,
যে
চারদিকে
ঘুরে
বেড়ায়
কিন্তু
দিন
শেষে
মার
আঁচলের
নিচেতেই
ফিরে
আসে।
আর
যখন
তারা
অজানা
শহরের
মুখর
রাজপথ
দিয়ে
হেঁটে
বেড়ায়,
তখন
তাদের
হৃদয়ে
তার
নিজের
শহরের
স্মৃতি
জাগরূক
থাকে।
তাকে
তার
বড়
আপন,
বড়
স্নেহময়ী
বলে
মনে
হয়।’
আমি
খুশি
হয়েছিলাম
সেই
কিপলিং-এর
কথা
মনে
করে।
আজ
এমন
একজনার
সাথে
পরিচিত
হয়েছি
যিনি
সারা
পৃথিবীর
মানুষ,
ক্ষুদ্র
স্বাদেশিকতা
তার
ভেতরে
নেই।
আর
তার
যদি
কোনো
স্বাদেশিকতা
থাকে
তো
সে
মঙ্গল
গ্রহ
অথবা
চাদে
যারা
বাস
করে
তাদের
কাছেই।
কগলান
যখন
সাইবেরিয়ান
রেলওয়ের
পারিপার্শ্বিক
গ্রামের
গল্প
শোনাচ্ছিলেন
তুখন
অর্কেস্ট্রা
উদ্দাম
হয়ে
উঠেছিল।
শেষের
সুর
ছিল
ডিক্সি
("Dixie")। যখন
বাজনা
শব্দ
কমে
এল,
তখন
চারদিকে
এত
জোরে-হাততালি
পড়ল
যে
শেষটুকু
আর
ভালো
করে
শোনাই
গেল
না।।
এ-ধরনের
পরিবেশ
নিউইয়র্ক
শহরের
প্রচুর
কাফেতে
দেখা
যায়,
এ
আমি
জোর
করে
বলতে
পারি।
এ-নিয়ে
অনেক
তুমুল
তর্ক
হয়ে
গেছে।
অনেকের
মতে,
দক্ষিণের
লোকেরা
সন্ধের
সাথে-সাথেই
কাফেগুলোতে
এসে
ভিড়
করে।
শহরের
উত্তর
অংশকে
এদের
হৈ-হুল্লোড়
বেশ
ব্যতিব্যস্ত
করে
তোলে।
এর
কারণও
আছে।
স্পেনের
সাথে
যুদ্ধ,
টাকশাল,
তরমুজের
চাষ,
নিউ
অর্লিনসের
(New
Orleans) রেসের
গল্প,
ইন্ডিয়ানা
এবং
কানসাস
(Indiana
and Kansas) নগরীর
মিলিত
সভা,
নর্থ
ক্যারোলিনা
সোসাইটির
পার্টি,
এমনি
সব
হুল্লোড়
আর
গল্প
লেগেই
থাকত।
“ডিক্সি”
যখন
বাজছিল
তখন
কালো
চুলঅলা
এক
যুবক
একটা
মসবি
গরিলা
নিয়ে
কোথেকে
যেন
উঠে
দাঁড়াল।
হ্যাট
তুলে
সে
ভীষণভাবে
নাড়তে
লাগল।
তারপর
এগিয়ে
এসে
আমাদের
খালি
চেয়ারে
বসে
সিগারেট
বের
করল।
আমাদের
একজন
তিনজনের
জন্যে
উজবারজারস
(Würzburgers) আনতে বলল
বেয়ারাকে।
কালো
চুলওয়ালা
যুবক,
একটু
হেসে
মাথা
নুইয়ে
আতিথেয়তা
স্বীকার
করল।
একটা
কথা
আমার
মনে
হয়েছিল,
সেটা
যাচাই
করবার
জন্যে
যুবকটিকে
তাড়াতাড়ি
জিজ্ঞেস
করলাম,
‘আচ্ছা
যদি
কিছু
মনে
না
করেন,
আপনার
দেশ
কি.......’–
ই.
রাশমোর
কগলান
টেবিলের
ওপর
চাপড়
মারলেন।
আর
সাথে-সাথে
আমি
চুপ
করে
গেলাম।
তিনি
বললেন
: মাফ
করবেন,
এ-ধরনের
প্রশ্ন
কেউ
কাউকে
করে,
এটা
আমি
পছন্দ
করি
না।
কোনখানে
তার
বাড়ি
সে
কথা
শুনে
কী
লাভ?
কারো
ঠিকানা
শুনে
তাকে
বিচার
করাটা
কি
ন্যায়
সঙ্গত?
জীবনে
কত
রকমের
লোক
দেখেছি।
কেন্টাকিয়ানরা
(Kentuckian) হুইস্কি ঘৃণা
করে,
ভার্জিনিয়ার
(Virginians)কেউ
পোকাহনতাসের
(Pocahontas) বংশধর
নয়,
ইন্ডিয়ানার
(Indiana
) কেউ
একজনও
উপন্যাস
লেখেনি,
কুপোর
টানা-সেলাই-করা
ট্রাউজার
পরে
না
কোনো
মেক্সিকান—কত
সব
বিচিত্র
মানুষ।
হাস্যকর
ইংরেজ,
অমিতব্যয়ী
ইয়াংকি,
খুনে
দক্ষিণের
লোক,
ক্ষুদ্রমনা
পশ্চিমবাসী—এমনি
কত
বিচিত্রি
এরা।
এই
ধরুন-না
নিউইয়র্কের
লোক—এত
ব্যস্ত
যে
এক
মিনিটও
রাস্তায়
দাঁড়াতে
চায়
না।
এমনি
কত
কিছু।
মানুষ
মানুষই।
তাকে
কোনো
অঞ্চলের
লেবেল
লাগিয়ে
খাটো
করে
দেখা
অন্যায়।’
বললাম,
‘ক্ষমা
করবেন,
আমার
প্রশ্নের
একটা
উদ্দেশ্য
ছিল।
আমি
দক্ষিণের
লোকদের
চিনি।
যখন
“ডিক্সি”
বাজে
তখন
যদি
কেউ
ওভাবে
উদ্বেলিত
হয়,
উত্তেজিত
হয়ে
ওঠে,
তাহলে
বুঝতে
হবে
যে,
আমার
মতে
হয়
সে
নিউজার্সীর
সিকৌকাস(Secaucus,
N.J.,) এলাকার
লোক,
নয়ত
মারে
হিল
লাইসিয়াম
আর
হারলেম
(Murray
Hill Lyceum and the Harlem River) নদীর
মধ্যবর্তী
জেলার
লোক।
আমি
সেই
কথাটাই
প্রমাণ
করতে
চেয়েছিলাম
এই
ভদ্রলোকটির
বেলায়।
কিন্তু
আপনি
বাধা
দিলেন।
অবশ্যি
স্বীকার
করব
আপনার
মতবাদ
আরো
ব্যাপক।’
এতক্ষণে
কালো
চুল
ওয়ালা
যুবক
মুখ
খুলল।
বোঝা
গেল,
সে
নিজের
মনে
একটা
কিছু
ভাবছিল
এতক্ষণ।
‘আমি
শামুক
(periwinkle) হয়েই পাহাড়ের
চুড়ায়
থাকতে
চাই
আর
কিটকিট
(tooralloo–ralloo) করে ডাকতেই
চাই।’
তার
কথা
হেঁয়ালির
মতো
শোনাল।
কিছুই
বোঝা
গেল
না।
আমি
তাই
আবার
কোগলানের
দিকে
মুখ
ফেরালাম।
কোগলান
বললেন
: সারা
পৃথিবী
আমি
বারো
বার
ঘুরেছি।
উপেরনাভেকে
(Upernavik) একজন এস্কিমোকে
(Esquimau) চিনতাম, যে
সিনসিনাটিতে
(Cincinnati) নেকটাই কিনত।
একজন
উরুগুয়ের
ছাগল-পালককে
জানতাম,
সে
ব্যাটল
ক্রিকের
(Battle
Creek) প্রাতরাশ
হেঁয়ালি
রহস্যের
সমাধান
করে
প্রথম
পুরস্কার
পেয়েছিল
।
ইয়োকোহামা
আর
কায়রোতে
আমি
সারাবছর
বাড়ি
ভাড়া
করে
রাখতাম।
সাংহাই-এর
এক
চা-খানায়
আমার
একজোড়া
স্যান্ডেল
এখনও
পড়ে
আছে।
রিও-ডি-জেনিরো
আর
সিউলে
তো
আমাকে
বলে
দিতে
হয়
না
কীভাবে
আমার
জন্যে
ডিম
রান্না
করতে
হবে।
ওরা
তা
ভালো
করেই
জেনে
গেছে।
পৃথিবীটা
বড়
ছোট্ট
বুঝলেন?
এখানে
কে
কোন
দেশের
লোক,
কোন
শহরের
নাগরিক,
কী
তার
ঠিকানা,
এসব
জিজ্ঞেস
করার
কি
মানে
হয়?
আমাদের
এই
ক্ষুদ্রমনা
ভাব
না
কাটাতে
পারলে
পৃথিবীর
কোনো
উন্নতি
নেই।
আমি
গলা
নরম
করে
বললাম,
‘আপনি
দেখছি
একজন
খাটি
কসমোপোলাইট।
আপনার
কথা
শুনে
মনে
হচ্ছে,
দেশাত্মবোধকে
আপনি
স্বীকারই
করেন
না।’
‘হ্যা
তাই।
ওসব
অতীতের
জিনিস।
আমরা
সবাই
ভাই
ভাই।
চীনা,
ইংরেজ,
জুল
(Zulus), পাটাগোনিয়ান (Patagonians), সকলেই ভাই।
এমন
দিন
আসবে
যেদিন
পৃথিবীর
সমস্ত
রাজত্ব
এক
হয়ে
যাবে,
আমরা
সবাই
এক
পৃথিবীর
নাগরিক
বলে
পরিচিত
হব।
আর
সেটাই
কাম্য।’
‘কিন্তু
আপনি
যখন
বিদেশ
ঘুরে
বেড়ান
তখন
কি
আপনার
কোনো
শহরের
কথা,
কোনো
প্রিয়
গ্রামের
কথা------------।’
ই.
ড়াষোমড়
কগলান
বাধা
দিলেন,
‘মোটেই
না
না,
মোটেই
না।
কোনো
বিশেষ
শহর
নয়,
সম্পূর্ণ
পৃথিবী,
গোল,
উত্তর-দক্ষিণে
কমলালেবুর
মতো
চাপা,
এই
গ্রহই
আমার
বাসস্থান।
ঠিক
আমার
মতো
লোক
অনেককে
আমি
বাইরে
দেখেছি,
মিশেছি।
শিকাগোর
একজনকে
দেখেছি,
ভেনিসে
গণ্ডোলায়
(gondola
in Venice) চাঁদনী-রাতে
দিব্যি
ঘুরে
বেড়াচ্ছে।
একজন
দক্ষিণের
লোককে
জানি,
যে
ইংল্যান্ডের
রাজার
সাথে
পরিচিত
হয়েছিল।
একবার
আফগানিস্তানে
এমনি
একজন
নিউইয়র্কের
লোক
ডাকাতের
হাতে
পড়েছিল।
তার
পরিবার
টাকা
পাঠিয়ে
দেবার
পর
সে
বেচারি
ছাড়া
পেয়ে
কাবুলে
ফিরে
আসে।
দো-ভাষীর
সাহায্যে
সেখানে
সে
বলেছে
নিউইয়র্কের
ট্যাক্সি-ড্রাইভারদের
কথা।
আট
হাজার
মাইলের
কম
যে
জায়গার
ব্যাস,
তার
সম্বন্ধে
আমি
মোটেই
উৎসাহী
নই।
আমাকে
আপনি
সারা
পৃথিবীর
নাগরিক
বলে
মনে
করতে
পারেন।’
এরপর
সুদীর্ঘ
অভিবাদন
করে
জনাব
কগলান
বিদায়
নিলেন।
দূরে
হুল্লোড়
আর
ধোঁয়ার
আড়ালে
একজন
দাড়িয়ে
ছিল,
তাকে
নাকি
তিনি
চেনেন,
তাই
উঠে
গেলেন।
এখন
আমি
আর
সেই
যুবক
বসে
রইলাম।
ভাবতে
লাগলাম
সেই
আন্তর্জাতীয়
লোকটির
কথা।
আর
ভাবলাম
এঁর
কথা
কেন
সেই
কবি
লিখলেন
না।
আমি
তাঁকে
আবিষ্কার
করেছি।
তিনি
আমাকে
মুগ্ধ
করেছেন।
কী
ভাবে
এক-একটা
শহরের
নাগরিক
জন্ম
নেবার
পর
নানা
জায়গায়
ঘোরে,
কিন্তু
আবার
ফিরে
আসে
নিজের
শহরে।
এ
যেন
ঠিক
একটা
ছোট্ট
ছেলে,
চারিদিকে
ঘুরে
বেড়ায়
কিন্তু
শেষ
অবধি
মার
আঁচলের
তলাতেই
ফিরে
আসে।’
ই,
রুশমোর
কোগলান
সে-রকম
নন।
কেননা
সারা
পৃথিবী
তাঁর।
কাফের
আর
এক
কোণে
ভীষণ
একটা
গোলমাল
আর
হল্লায়
আমার
চিন্তায়
বাধা
পড়ল।
আমি
সকলের
ওপর
মাথা
তুলে
চোখ
ফিরিয়ে
দেখলাম,
ই.
রাশমোর
কগলান
আর
তার
সেই
চেনা
ভদ্রলোক
তুমুল
হাতাহাতি
করছেন।
টেবিলের
দু-পাশে
দাড়িয়ে
তারা
লড়াই
করছেন।
কাচ
ভেঙে
গেছে।আসে
পাশের
লোকেরা
তাদেরকে
আটকে
ফেলেছে।
তারা
দুজনেই
মেঝেতে
গড়িয়ে
পড়েছে।
আমার
এই
আন্তর্জাতীয়
ভদ্রলোক
যেন
সারা
পৃথিবীর
খ্যাতি
ও
সম্মান
একাই
রক্ষা
করছেন।
বেয়ারাগুলো
দু-জনকে
চ্যাংদোলা
করে
তুলে
বের
করে
দিল।
তখনো
তারা
হাতাহাতি
করছিলেন।
ম্যাকার্থি
(McCarthy) নামের এক
ফ্রেঞ্চ
ভদ্রলোককে
ঝগড়ার
কারণ
জিজ্ঞেস
করলাম।
তিনি
বললেন
:
‘সেই
লাল
টাই-পরা
লোকটি
(মানে
আমার
কসমোপোলাইট
বন্ধু,
কগলান)
অন্য
ভদ্রলোকটির
কাছে
তার
নিজের
শহরের
ফুটপাথ
আর
পানির
ব্যবস্থার
বদনাম
শুনে
খেপে
উঠে
এই
কাণ্ড
বাধিয়েছিলেন,
সাহেব।’
‘কেনো?’
আমি
বিস্মিত
হয়ে
বললাম,
‘লোকটি
তো
একজন
বিশ্ব
নাগরিক।
সে-----’
‘
সে
বলেছিল,
তার
বাড়ি
আসলে
মেইন
(অঙ্গরাজ্যের)
ম্যাটাওয়ামকিগে
(Mattawamkeag,
Maine)।
ম্যাকার্থি
বলে
চলল,
‘আর
তিনি
কিছুতেই
সহ্য
করতে
পারেন
না
যদি
তার
বাড়ির
কেউ
বদনাম
করে।’
No comments:
Post a Comment