মজার গল্প, উপন্যাস, গোয়েন্দা কাহিনী, ছোট গল্প, শিক্ষামূলক ঘটনা, মজার মজার কৌতুক, অনুবাদ গল্প, বই রিভিউ, বই ডাউনলোড, দুঃসাহসিক অভিযান, অতিপ্রাকৃত ঘটনা, রুপকথা, মিনি গল্প, রহস্য গল্প, লোমহর্ষক গল্প, লোককাহিনী, উপকথা, স্মৃতিকথা, রম্য গল্প, জীবনের গল্প, শিকারের গল্প, ঐতিহাসিক গল্প, অনুপ্রেরণামূলক গল্প, কাহিনী সংক্ষেপ।

Total Pageviews

Saturday, May 8, 2021

দ্যা আমব্রেলা ম্যান – রোয়াল্ড ডাল – বাংলা অনুবাদ গল্প - The Umbrella Man – Roald Dahl - Bangla Translation



দ্যা আমব্রেলা ম্যান রোয়াল্ড ডাল বাংলা অনুবাদ গল্প - The Umbrella Man – Roald Dahl - Bangla Translation

 

গতকাল বিকেলে একটি মজার ঘটনা ঘটেছে ঘটনাটি আমাকে আর মাকে নিয়ে আমি বার বছরের এক কিশোরী আমার মার বয়স চৌত্রিশ তবে লম্বায় আমি মাকে এখন প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছি

কাল বিকেলে মা আমাকে নিয়ে গিয়েছিল লন্ডনে দাঁতের ডাক্তারেরর কাছে ডাক্তার দেখলেন আমার দাঁতে গর্ত হয়েছে নিচের মাড়ির দাঁত তিনি গর্তটা বুজিয়ে দিলেন তেমন ব্যথা লাগল না ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে মা আমাকে নিয়ে ঢুকল একটি ক্যাফেতে আমাকে কিনে দিল আইসক্রিম, মা নিল কফি

দোকান থেকে বেরিয়ে দেখি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে ঝুম বৃষ্টি একটা ট্যাক্সি নেয়া দরকার, বলল মা

-এত বৃষ্টিতে বেরিয়ে লাভ কী? বললাম আমি ক্যাফেতে ঢুকি চল বৃষ্টি থামলে বেরুব আমার আরো একটা আইসক্রিম খেতে মন চাইছে খুব মজার আইসক্রিম

মা বলল, বৃষ্টি সহসা থামবে বলে মনে হচ্ছে না বাড়ি ফিরতেই হবে

বৃষ্টির মধ্যে পেভমেন্টে দাড়িয়ে টেক্সি খুঁজতে লাগলাম আমরা অনেক ট্যাক্সি আসছে কাছে কিন্তু সবগুলো যাত্রী ভর্তি ইস, নিজেদের যদি একটা গাড়ি থাকত, আফসোস করল মা

এমন সময় লোকটিকে দেখতে পেলাম আমরা ছোটখাট মানুষ, বয়স সত্তর বা তার বেশিও হতে পারে মাথার হ্যাটটা তুলে মাকে বিনম্র গলায় সে বলল, মাফ করবেন একটা কথা বলতে চাইছিলাম....

বুড়ো লোকটার ঠোটে ধবধবে শাদা গোঁফ, গোলাপি মুখখানায় বয়সের কুঞ্চন মাথার ওপর একটা ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে

-জ্বী? মা ঠাণ্ডা গলায় বলল

-যদি কিছু মনে না করেন একটু অনুগ্রহ চাইব আপনাদের কাছে, বলল বুড়ো খুবই সামান্য অনুগ্রহ

লক্ষ্য করলাম মা লোকটিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছে আমার মা সন্দেহ বতিক আছে পৃথিবীতে দুটো বিষয়ে তার সন্দেহ অত্যন্ত প্রবল অচেনা মানুষ এবং সিদ্ধ ডিম সিদ্ধ ডিমের মাথার সূঁচালো অংশটা কেটে নেয় সে নাস্তা করার সময় তারপর ভেতরে চামচ ঢুকিয়ে ভালভাবে রগড়াতে থাকে, যেনো দেখতে চায় ওটার মধ্যে, ইদুরের বাচ্ছা বা অন্য কিছু লুকিয়ে আছে কিনা আর অচেনা মানুষ চেনার ব্যাপারে সে প্রায়ই বলে, যে লোকটিকে দেখবে যত ভদ্র এবং বিনয়ী, ভাববে তার মধ্যে গোলমাল তত বেশি একমাত্র মিচকে শয়তানরাই বিনয়ী সেজে বসে থাকে তবে বুড়ো লোকটিকে কিন্তু আমার মোটেই মিচকে শয়তান মনে হল না লোকটির বিনয়ী ভাব, কথাবার্তায় সন্দেহ করার মত কিছু পেলাম না একজন প্রকৃত ভদ্রলোক বলে মনে হচ্ছে সুবেশী বৃদ্ধকে উনি যে ভদ্রলোক তা তার জুতা দেখেই বুঝতে পারছি পায়ের জুতা দেখেই বোঝা যায় কে ভদ্রলোক আর কে ছোটলোক মানুষ চেনার ব্যাপারে এটা হল মা আরেক সবক ভদ্রলোক দামী, বাদামী রঙের শু পরেছেন

-সত্যি বলতে কি, মানুষটা শুরু করলেন আবার, একটু সমস্যায় পড়ে গেছি তবে, ম্যাডাম, আমার মত বুড়োরা বয়সের ভারে অনেক কিছু ভুলে বসে থাকে জানেনই তো...

মা ঝট তার চিবুক উঁচু করে নাক বরাবর দৃষ্টি হানল বুড়োর পানে বড় ভয়ানক জিনিস মা যখন এভাবে তাকায় কারও দিকে, ভেতরে ভেতরে খবর হয়ে যায় তার কিন্তু ছাতা মাথায় বৃদ্ধের চেহারায় কোন ভাবান্তর ঘটল না, চোখের পলক পর্যন্ত পড়ল না মৃদু হেসে বলল, বিশ্বাস করুন ম্যাডাম, রাস্তায় মহিলাদের থামিয়ে সাহায্য চাইবার অভ্যাস আমার নেই

-দেখে তো তা মনে হচ্ছে না, বলল মা

মা চাচাছোলা কথায় বিরক্তবোধ করলাম আমি বলতে ইচ্ছে করল, ছি! ছি! মা না জেনে কি সব মন্তব্য করছ মানুষটা কত ভদ্র আর বিনয়ী দেখে মনে হচ্ছে উনি সত্যি বিপদে পড়েছেন এর সাথে এরকম ব্যবহার করা মোটেও উচিত হচ্ছে না তোমার কিন্তু বললাম না কিছুই চুপ করে থাকাই ভাল মনে করলাম

বুড়ো এক হাত থেকে অন্য হাতে ছাতাটা নিল এমনও মন ভুলা কখনও হই না আমি, বলল সে

-কী ভুল করেছেন শুনি? ধারাল সুরে বলল মা

-আমার ওয়ালেট, বলল সে, নিশ্চয়ই ভুল করে অন্য জ্যাকেটে রেখে এসেছি এরচে বোকামো কী হতে পারে?

-তাই আপনি আমার কাছে অর্থ সাহায্য চাইতে এসেছেন জিজ্ঞেস করল মা

-ওহ্ না, আর্তনাদ করে উঠল বৃদ্ধ এমন কাজ জীবনেও করব না আমি

-তাহলে কী চান? বলল মা, যা বলার তাড়াতাড়ি বলেন দেখেছেন না ভিজে যাচ্ছি

-দেখেছি তো, বলল সে আর বৃষ্টিতে বাচ্চা মেয়েটিকে নিয়ে ভিজছেন দেখেই চলে এলাম ছাতা নিয়ে নিন, ছাতাটা মাথায় দিয়ে বৃষ্টির হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করুন অবশ্য এটা সারা জীবনের জন্যে রেখেও দিতে পারেন...

-যদি.....

-যদি কী? জানতে চাইল মা

-যদি আমাকে বাড়ি ফেরার জন্যে শুধু ট্যাক্সি ভাড়াটা দেন

মা এখনও সন্দেহমুক্ত হতে পারেন নি জিজ্ঞেস করল, ভাড়া না থাকলে এখানে এলেন কী করে?

-হেঁটে, জানাল বুড়ো প্রতিদিন অনেকখানি হাঁটি আমি তারপর ট্যাক্সি নিয়ে বাড়ি যাই অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে ব্যপারটা তাহলে এখন হেঁটে গেলেই পারেন, বলল মা

-পারলে তো যেতামই, বলল বুড়ো কিন্তু বুড়ো পা জোড়া যে আর চলতে চাইছে না আজ অনেক বেশি হাঁটা হয়ে গেছে

মা নিচের ঠোট কামড়াতে লাগল চিন্তিত ভঙ্গিতে আমি জানি কি ভাবছে মা কম পয়সায় ছাতার মালিক হবার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না

-ছাতাটা কিন্তু খুব সুন্দর লোভ দেখাল লোকটি

-দেখতেই পাচ্ছি, বলল মা

-সিল্কের তৈরি, জানাল সে।।

-তাও দেখেছি

-তাহলে এটা নিয়ে নিচ্ছেন না কেন ম্যাডাম? বলল সে ছাতাটা কুড়ি পাউন্ড দিয়ে কিনেছিলাম কিন্তু এখন ট্যাক্সি ভাড়া হিসেবে এক পাউন্ড পেলেই এটার মায়া ত্যাগ করতে রাজি আছি ছাতার চেয়ে পা জোড়ার মূল্য মুহূর্তে অনেক বেশি

দেখলাম মা পার্সে হাত ঢোকাচ্ছে লক্ষ্য করল আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি মা মত আমিও চিবুক উঁচিয়ে তাকিয়েছি মা দিকে কি বলতে চাইছি ভাল বুঝতে পারছে মা একটি বুড়ো লোকের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এভাবে তাকে ঠকানো ঠিক হচ্ছে না মা, মনে মনে বললাম আমি মা পার্স থেকে হাত বের করে ঘুরে দাঁড়াল বুড়োর দিকে আপনার ছাতাটা এক পাউন্ডে নিতে মন চাইছে না আমার মনে হচ্ছে অন্যায় করা হচ্ছে আপনাকে তারচে আমি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছি ছাতা নিয়ে চলে যান

-না না সে কি! প্রতিবাদ করল বুড়ো তার প্রশ্নই ওঠে না আমি খামাখা অর্থ সাহায্য নেয়ার কথা কল্পনাও করতে পারি না ছাতাটা নিন, বৃষ্টিতে ভিজে একেবারে চুপসে গেছেন দেখছি

মা আমার দিকে আড় চোখে তাকাল বিজয় উল্লাস দৃষ্টিতে বলতে চাইল, ওকে আমি মোটেই ঠকাচ্ছি না বুড়ো চাইছে যে ছাতাটা আমি নিই মা আবার পার্সে হাত ঢোকাল বের করে আনল এক পাউন্ডের একখানা নোট বাড়িয়ে দিল বুড়োকে বুড়ো খুপ করে টাকাটা নিয়ে ছাতাটা দিয়ে দিল মাকে মাথার হ্যাট উঁচু করে, কোমর বাঁকিয়ে নড করল মাকে বলল, ধন্যবাদ ম্যাডাম, ধন্যবাদ তারপর চলে গেল ছাতার নিচে এস সোনা, বলল মা দেখেছ কত ভাগ্য আমাদের সিল্কের এরকম একটি ছাতার মালিক হাবার স্বপ্ন ছিল আমার অনেক দিনের কিন্তু কেনার সামর্থ্য হয় নি

-ছাতাটা যদি নিবেই তাহলে বুড়োকে অত প্রশ্ন করলে কেন? জিজ্ঞেস করলাম মাকে

-বাজিয়ে দেখলাম বুড়ো জোচ্চোর কিনা, বলল মা নাহ, সত্যি ভাল লোক লোকটাকে সাহায্য করতে পেরেছি বলে ভাল লাগছে

-একজন প্রকৃত ভদ্রলোক, বলে চলল মা, পয়সা অলাও বটে না হলে সিল্কের ছাতা কেনার সামর্থ্য হত না

-আমার ধারণা বুড়ো বেশ বড়লোক স্যার হ্যারী গোল্ডসওয়ার্দির মত কেউ

-ঠিক মা।।

-তবে ঘটনা থেকে একটি তথ্য তো পেলে - কখনও হুট করে কোন সিন্ধান্ত নিতে নেই আগে বাজিয়ে দেখতে হবে তাহলে পরে আর পস্তাতে হবে না

-মা দেখো, বললাম আমি ভদ্রলোক যাচ্ছেন কোথায়?

-ওই যে ওখানে রাস্তা পার হচ্ছে মা, কি জোরে হাঁটছেন দেখেছ?

ছোটখাট মানুষটির পায়ে যেন পাখা গজিয়েছে, গাড়ি ঘোড়ার পাশ দিয়ে এঁকে বেঁকে রাস্তার ওপারে চলে গেল তারপর দ্রুত মোড় নিল বামের গলিতে

-লোকটিকে কিন্তু এখন মোটেও ক্লান্ত মনে হচ্ছে না, তাই না মা? মা চুপ করে রইল।।

-গাড়ি ধরারও তো চেষ্টা করছে না, বললাম আমি

মা মুখে কথা নেই স্থির এবং আড়ষ্ট ভঙ্গিতে লক্ষ্য করছেন বুড়োকে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে তাকে ফুটপাত দিয়ে ঝড়ের বেগে এগিয়ে চলেছে, মার্চ করার ভঙ্গিতে

-বুড়োর মাথায় কোন মতলব আছে, থমথমে গলায় বলল মা।।

-কিসের মতলব?

-তার আমি কি জানি, ধমকে ওঠল মা তবে ওর মতলবটা কি জানতেই হবে এস আমার সাথে, আমার হাত চেপে ধরে রাস্তায় নেমে পড়ল আমরা বাম দিকে মোড় নিলাম

-দেখতে পাচ্ছ বুড়োকে? জিজ্ঞাস করল মা।।

-হ্যাঁ ওই সে এইমাত্র সামনের গলিতে ঢুকলেন

আমারও তাঁর পিছু পিছু ডান দিকের গলিতে ঢুকে পড়লাম বুড়ো আমাদের থেকে হাত বিশেক দূরে বৃষ্টির বেগ বেড়েছে আগের চেয়ে লোকটির হ্যাটের কিনার থেকে বৃষ্টির ফোটা পড়ে ভিজে দিচ্ছে কাধ তবে আমাদের গায়ে বৃষ্টির ছিটা লাগছে না ছাতাটির নিচে ভালো আছি

-ওর মতলবটা ঠিক বুঝতে পারছি না, বলল মা।।

-বুড়ো ঘুরলে কিন্তু আমাদের দেখে ফেলবেন, শঙ্কিত গলায় বললাম আমি

-দেখুক, রাগ মা গলায় ব্যাটা আমাদেরকে মিথ্যা কথা বলছে বলে কিনা হাঁটতে পারে না এখন দেখছি উড়ে চলছে মিথ্যুক কোথাকার

-তার মানে তুমি বলতে চাও উনি ভদ্রলোক নন? বললাম আমি

-চুপ কর চোখ রাঙাল মা।।

বুড়ো পরের ক্রসিং- ডানে মোড় নিল তারপর আবার বাম গলিতে ঢুকল আবার ডানে

-যেখানেই যাক পিছু ছাড়বি না কিছুতেই দাঁতে দাঁতে চাপল মা

-বুড়ো কেটে পড়েছে আর্তনাদ করে ওঠলাম আমি

-কিন্তু গেল কোথায়?

-ওই যে ওখানে বলল মা

-দেখেছি আমি লোকটাকে ওই বাড়িতে ঢুকতে বাবা, দেখছি একটা পাব!

-পাবই দোকানের মাথায় বড় বড় অক্ষরে লেখা দ্য রেড লায়ন

-ভেতর যাবে, মা?

-না, বলল মা এখানে দাঁড়িয়ে দেখি কি করে সে

বড় একটা কাচের জানালা দিয়ে পাবের ভেররটা পরিস্কার দেখা যাচ্ছে

আমরা জানালার পাশে এসে দাঁড়ালাম বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা টপ টপ শব্দে অঝরে পড়তে লাগল আমাদের ছাতায়।।

ওই যে বুড়ো, বললাম আমি পাবের ভেতর অনেক লোকজন সিগারেটের ধোঁয়ায় প্রায় অন্ধকার। বুড়োকে দেখলাম লোকজনের মাঝখানে হ্যাট এবং কোট নেই গায়ে সে ভিড় ঠেলে এগোল বারের দিকে বারের সামনে এসে একটা টুলে বসে পড়ল দুহাত বারের ওপর রেখে বারম্যানের সাথে কথা বলতে লাগল। নড়াচড়া দেখে বুঝতে পারলাম কিছু একটা আনতে বলছে সে বারম্যান অদৃশ্য হয়ে গেল তার সামনে থেকে কয়েক সেকেন্ড পরে ফিরে এল হাতে সুদৃশ্য টাম্বলার নিয়ে কাচের গ্লাসটা পূর্ণ হালকা বাদামী রঙের তরলে বুড়ো এক পাউন্ডের একটি নোট রাখল কাউন্টারে

-আমার টাকা রুদ্ধশ্বাসে বলল মা লোকটার সাহস কত

-গ্লাসে কী? জিজ্ঞেস করলাম আমি

-হুইসকি, বলল মা খাঁটি হুইসকি

বুড়ো এক চুমুকে সাবা করে দিল হুইসকির গ্লাস তারপর গ্লাসটা নামিয়ে রাখল কাউন্টারে চেহারা উজ্জ্বল দেখাচ্ছে ঠোটের কোণায় হয়তো হুইসকি লেগে ছিল জিভ দিয়ে চাটল সে ঠোটের কোনা তারপর উঠে পড়ল কাউন্টার থেকে পা বাড়াল যেখানে কোট আর হ্যাট রেখেছে সেদিকে মাথায় হ্যাট চাপাল সে তারপর ঠান্ডা মাথায় সে কাজটি করল, দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম আমরা  

কোট জ্যাকেটের পাশে খদ্দেরদের ভেজা ছাতা ঝোলান ছিল বুড়ো করল কি, হাঙার থেকে একটা ছাতা তুলে নিল আলগোছে। তারপর ওটা নিয়ে ভাবলেশহীন মুখে বেরিয়ে এল বার থেকে তাকে কেউ লক্ষ্যও করল না

-, , ,! ফিস ফিস করলাম আমি বুড়ো আসছে এদিকে

ছাতাটা একটু নামিয়ে নিজেদের মুখ আড়াল করে ফেললাম আমরা, ফাক দিয়ে উঁকি দিতে লাগলাম

বুড়ো আমাদের লক্ষ্য করল না নতুন ছাতাটা মাথার ওপর মেলে যেদিক দিয়ে এসেছিল সে রাস্তায় পা বাড়াল

-আচ্ছা, জোচ্চোর বুড়োর খেলা তাহলে এটা! বলল মা

-কি সাংঘতিক বুড়ো মন্তব্য করলাম আমি

আমরা পিছু নিলাম বুড়োর যেখানে লোকটার সাথে আমাদের দেখা হয়েছিল, সে জায়গায় চলে এল সে এক লম্বা রোগা লোকের সাথে এবার ছাতা বিনিময় করল এক পাউন্ডে নতুন ছাতাটা গছিয়ে দিতে আরও কম সময় লাগল বিনিময় শেষ হতে বুড়ো ফুটপাত ছেড়ে উঠে পড়ল রাস্তায় মিশে গেল মানুষের ভিড়ে এবার বিপরীত দিকে গেছে সে

-দেখলে কি চালাক! বলল মা এবার আরেক পাবে হামলা চালাবে সে

-ছাতা মানব সারা রাত ধরে এমন কাজ চালিয়ে যেতে পারে, না মা? বললাম আমি

-পারেই তো জবাব দিল মা তবে বাজি ধরতে পারি সে বৃষ্টির দিন ছাড়া শিকারে বেরোয় না

 English main text

No comments:

Post a Comment

Popular Posts