৮.
একদিন ভোলা দোকানে গিয়েছেন তেল কিনতে। তেল কিনে ভোলা রাগে টং হয়ে দোকানদারকে বললেন—
ভোলা: আরে ভাই, তেলের সঙ্গে আমার ফ্রি উপহার কই?
দোকানদার: রাগছেন কেন? তেলের সঙ্গে কোম্পানি তো কোনো উপহার দেয়নি। আমি উপহার বানিয়ে দেব নাকি?
ভোলা: আরে মশাই, আমাকে বোকা বানাচ্ছেন, না? আমি কি মূর্খ নাকি যে পড়তে পারি না! তেলের বোতলের গায়েই তো লেখা আছে, কোলেস্টেরল ফ্রি। কই, সেটা তো দিচ্ছেন না।
৯.
একবার প্রচণ্ড গরমের সময় ভোলানাথের সঙ্গে এক ভদ্রলোকের কথা হচ্ছে—
ভদ্রলোক: আচ্ছা মশাই, আপনার যখন গরম লাগে, আপনি তখন কী করেন?
ভোলা: কেন, এসির পাশে গিয়ে বসে থাকি!
ভদ্রলোক: এসির পাশে বসেও যদি আপনার গরম লাগে?
ভোলা: হুম্ম্, তখন এসিটা চালিয়ে দিই।
১০.
একবার ভোলা একটি পত্রিকা অফিসে গেছেন তাঁর চাচার মৃত্যুসংবাদের বিজ্ঞাপন দিতে। ভোলা আর পত্রিকা অফিসের কেরানির মধ্যে কথা হচ্ছে—
ভোলা: আচ্ছা ভাই, এ বিজ্ঞাপনটি ছাপতে টাকা কী পরিমাণ খরচা হবে, একটু বলবেন?
কেরানি: আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের হার হচ্ছে, প্রতি কলাম এক সেন্টিমিটার জায়গার জন্য ৩৬০ টাকা।
ভোলা: বলেন কি! এই বিজ্ঞাপন ছাপাতে গিয়ে আমিই তো মরে যাব দেখছি।
কেরানি: কেন? কী হয়েছে আপনার?
ভোলা: আরে ভাই, প্রতি কলাম এক সেন্টিমিটার জায়গার মূল্য ৩৬০ টাকা। কিন্তু আমার চাচা তো ১৮২ সেন্টিমিটার লম্বা। তাহলে বুঝুন আমার অবস্থাটা!
১১.
প্রথমবারের মতো ভোলা গেছেন দিল্লিতে। দিল্লি গিয়ে তিনি প্রথমেই বড় বড় রাস্তা, স্টেডিয়ামগুলো ঘুরে ঘুরে দেখা শুরু করলেন। তো ভোলা বেশ ফুরফুরে মনে ঘোরাঘুরি করতে করতে রাস্তার মধ্যে একটি উঁচু জায়গার সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি ঠিক ঠাওর করতে পারছিলেন না আসলে এই জিনিসটা কী। পথিমধ্যে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে গেল।
ভোলা ওই ভদ্রলোককে বললেন, ‘দাদা, আপনাদের দিল্লিটা বেশ চমৎকার, চারদিকটা গোছানো। কিন্তু রাস্তার মধ্যে এত্ত বড় বড় স্পিডব্রেকারগুলো কেন বানিয়েছে, তা ঠিক বুঝতে পারছি না। জনগণের চলাচলের অসুবিধা হয়, এটা কি কর্তৃপক্ষ বোঝে না, নাকি?’
ভদ্রলোকের জবাব ‘আরে মশাই, বোকার মতো কথা বলছেন কেন। ওটা তো ফ্লাইওভার।’
১২.
একবার কলেজের অডিটরিয়ামে মাদার তেরেসা এসেছিলেন। অনুষ্ঠানটি দেখা নিয়ে হীরালাল আর ভোলার সঙ্গে কথা হচ্ছে—
হীরালাল: জানিস, আজ সন্ধ্যায় মাদার তেরেসা আসবেন আমাদের অডিটরিয়ামে। চল না, একসঙ্গে দেখে আসি।
ভোলা: না রে! তুই একাই যা। বাবা আমাকে ইংরেজি সিনেমা দেখতে বারণ করেছেন তো!
১৩.
একবার ভোলা নতুন কার কিনে নিজে চালিয়ে অফিসে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় সিগন্যাল বাতি জ্বলে ওঠায় গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছিলেন ভোলা। একবার বাধ্য হয়ে ভোলা ট্রাফিক পুলিশকে বললেন. ‘আচ্ছা মশাই, এ মুহূর্তে ডান দিকে যেতে হলে আপনাকে কত টাকা দিতে হবে?’
ট্রাফিক পুলিশ রেগে বললেন, ‘আপনি তো আচ্ছা লোক হে! আমাকে টাকার কথা বলছেন কেন? একদম জেলে পুরে রাখব কিন্তু।’
ভোলা ট্রাফিক পুলিশকে একটি সাইনবোর্ড দেখিয়ে বললেন, ‘আমার কী দোষ, সাইনবোর্ডে তো আপনারাই লিখেছেন Free left turn।’
১৪.
একবার ভোলা শখ করে প্রথমবারের মতো একটি বিখ্যাত রেস্টুরেন্টে খেতে গেছেন। ওয়েটার সামনে খাবার দিয়ে গেলেন। খাওয়া দাওয়া শেষে বেসিনে হাত ধুতে গিয়ে ভোলা হাত ধোয়ার বদলে পুরো বেসিনই ঘষামাজা শুরু করে দিয়েছেন। দেখে ওয়েটার আঁতকে উঠে বললেন, ‘আরে মশাই, আপনি করছেনটা কী? আপনি বেসিন পরিষ্কার করছেন কেন?’
ভোলা রেগে গিয়ে বললেন, ‘আপনারাই তো বোকার মতো বেসিনের ওপর লিখে দিয়েছেন—ওয়াশ বেসিন। তাই তো বেসিন পরিষ্কার করছি।
No comments:
Post a Comment