১ .
পাহাড়ে উঠেছে ভোলা। উঠেই সে একটা আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে গেল। ভোলা সেই চেরাগে ঘষা মারতেই এক দৈত্য এসে হাজির হয়ে বলল, ‘হুকুম করুন আমার মালিক।’ ভোলা তো অবাক। খানিক পরে সে ধাতস্থ হয়ে বলল, ‘আমি তোমার কাছে তিনটি জিনিস চাইব। দিতে পারবে তো?’ দৈত্য বলল, ‘জি মালিক, তবে আমার একটা শর্ত আছে। আপনাকে যা দেব, আপনার বন্ধু ওই জিনিসটি আপনা-আপনি দ্বিগুণ পরিমাণে পাবে।’ ভোলা তো এতে মহাখুশি। সে রাজি হয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, তবে তাই হোক। আমাকে একটা পরশ পাথর দাও দেখি।’ দৈত্য ভোলাকে পরশপাথর দিয়ে বলল, ‘আপনার বন্ধু কিন্তু দুটি পরশ পাথর পেয়েছে।’ এরপর ভোলা দৈত্যের কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলার চাইল। দৈত্য ভোলানাথের হাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘আপনার বন্ধু এবার ২০০ মিলিয়ন ডলার পেল।’ ভোলানাথের বন্ধু সবকিছু দ্বিগুণ পাচ্ছে দেখে ভোলানাথের রাগ চরমে উঠে গেল। এ ছাড়া ওই বন্ধুর ওপর খানিক রাগও আছে তার। সে ভাবল, এই তো সুযোগ! মুচকি হেসে দৈত্যকে বলল, ‘এবার আমাকে পিটিয়ে আধমরা করে দাও তো বাপু!’
২.
জেলে কয়েদি থাকা অবস্থায় একদিন ভোলানাথের কাছে তার স্ত্রীর চিঠি এল। চিঠিতে লেখা, ‘আমি সামনের বাগানটায় স্ট্রবেরি চাষ করতে চাই। তুমি কি বলে দেবে, এর জন্য কোন সময়টা উপযুক্ত?’ ভোলা বুঝতে পারল যে জেলপ্রহরী তার সবগুলো চিঠি আগেই পড়ে ফেলে। তাই জেলপ্রহরীকে মজা দেখানোর জন্য ভোলা তাঁর স্ত্রীর কাছে চিঠি লিখল, ‘খবরদার! সামনের বাগানে হাত দেবে না। ওখানে আমার সবগুলো টাকা লুকিয়ে রেখেছি।’ কিছু দিন পর ভোলা আবারও তার স্ত্রীর একটি চিঠি পেল। তাতে লেখা, ‘তুমি কল্পনাও করতে পারবে না, কী ঘটেছে! কাল কিছু পুলিশ এসে তোমার সামনের বাগানটা অযথা খোঁড়াখুঁড়ি করে চাষ করে ফেলেছে। কিন্তু তারা কিছুই পায়নি।’ চিঠির উত্তরে ভোলা লিখে, ‘হুম, এখনই হচ্ছে স্ট্রবেরি চাষের উপযুক্ত সময়। আর দেখলে, কীভাবে পুলিশদের দিয়ে ফ্রি ফ্রি বাগানটা চাষ করিয়ে নিলাম।’
৩.
ভোলা পুলিশের কাছে গিয়ে নালিশ করল, ‘স্যার, কাল রাতে টেলিভিশনটা ছাড়া আমার বাসার সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।’ এ কথা শুনে পুলিশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘তা চোর মহাশয় সব নিল কিন্তু টেলিভিশনটা নিল না কেন?’ ভোলানাথের জবাব, ‘ওটা আর চুরি করবে কীভাবে বলেন, আমি তো তখন বসে বসে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখছিলাম!’
৪.
ফুটবল খেলতে গিয়ে ভোলা পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছে। সেই ব্যথা নিয়ে সে কোঁকাতে কোঁকাতে ডাক্তারের কাছে গিয়ে হাজির। তাকে দেখে ডাক্তার বললেন, ‘কী মনে করে এলে, ভোলা?’ ভোলা মুখ কুঁচকে বলল, ‘আর বলবেন না ডাক্তার বাবু, পায়ের ব্যথায় যে মরে যাচ্ছি গো। তাড়াতাড়ি ব্যথা কমানোর বড়ি দিন দেখি।’ ডাক্তার ভোলাকে ভালো করে দেখে চিকিৎসা পত্রে কিছু বড়ির নাম লিখে পাশে লিখে দিল—‘ইহার পর হইতে ব্যথা উঠিবার আধাঘণ্টা পূর্বে ওষুধটি সেবন করিবে।’
৫.
ভোলা প্রায়ই টেলিভিশনে বিদেশি চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখে। ভোলানাথের স্ত্রী তাই মহা খাপ্পা। রেগেমেগে তিনি একদিন জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা, তুমি সারা দিন বসে বসে শুধু বিদেশি চ্যানেল দেখ কেন?’
ভোলা খুব বিরক্তির স্বরে বলল, ‘যেটা বোঝো না সেটা নিয়ে কথা বলতে এসো না। স্বদেশের প্রতি প্রীতি আছে বলেই আমি বিদেশি চ্যানেল দেখি। যত বেশি বিদেশি চ্যানেল দেখব ততই তো ওদের খরচ হবে। তাই বিদেশিদের খরচাটা একটু বাড়িয়ে দিতে চাই। বুঝলে গিন্নি?’
৬.
ভোলার সঙ্গে তার এক মনোরোগ চিকিৎসক বন্ধুর দেখা। ভোলা তাকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘আরে গোপাল, তুই! আমি তো শুনেছিলাম তুই মরে গেছিস!’
গোপাল: হুমম, কিন্তু এখন তো জীবিতই দেখলে, নাকি?
ভোলা: হতেই পারে না! যে ব্যক্তি আমাকে এই সংবাদ দিয়েছে সে যে তোমার চেয়েও বিশ্বস্ত।
৭.
ভোলা একবার এক পায়ে সাদা আর এক পায়ে কালো রঙের মোজা পরে স্কুলে গেল। দেখে শিক্ষক রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন, ‘ভোলা, তুই দুই রঙের মোজা পরে স্কুলে এসেছিস কেন?’
ভোলা: স্যার, আমি দু-তিন দিন ধরে বাসায় এই নতুন মোজা জোড়া দেখছি, তাই পরে এলাম।
স্যার: দেখলেই কি দুই রঙের মোজা পরতে হবে?
No comments:
Post a Comment