ঘটকের কাণ্ড - মজার গল্প – হাসির গল্প – ছোট গল্প |
ঘটকের
কাণ্ড - মজার গল্প – হাসির গল্প – ছোট গল্প
এক
ঘটক বিয়ের ঘটকালি করত। ঘটক হিসাবে তার সুখ্যাতি ছিল। সারা জীবন ঘটকালি করে সে একেবারে
ঝানু ঘটক হয়ে গিয়েছিল। তবে তার একটা দোষ ছিল। কথা বেশি বলতো। তা বয়স বেশি হলে মানুষ একটু বেশি কথা বলেই। এই বেশি কথার জন্য
মাঝে মাঝে কোন বিয়েতে সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর ঘটকের অতিরিক্ত বকবকানিতে সবকিছু গুবলেট
হয়ে যেত। সে জন্য কেউ
কেউ তাকে প্যাচাইল্যা ঘটক কেউবা বক্তার আলি ঘটকও বলত।
সেই
বক্তার আলি একবার এক বিয়ের ঘটকালির জন্য নিযুক্ত হয়েছিল। ছেলে পক্ষ তাকে নিযুক্ত
করেছিল। হিন্দু পরিবারের বিয়ে। ঘটক আর ছেলের জেঠা বিয়ের কথাবার্তা বলতে গেছে। মেয়েপক্ষ
বনেদী,
রক্ষণশীল এবং শিক্ষাদীক্ষায় উন্নত। কনের বাড়িতে যাওয়ার পর দুই পক্ষের
কুশল বিনিময়, ছেলের জেঠার পথে কোন কষ্ট হয়েছে কিনা এই সব কথার
পর আপ্যায়ন পর্ব শেষ করে মেয়েপক্ষ আসল কথাবার্তা বলতে চাইলেন। মেয়ের বাবা জিজ্ঞাসা
করলেন : তা ছেলে লেখাপড়া করেছে কদ্দুর?
ঘটক : সেতো
মেলা পাস দিয়েছে। আর বছর বিলাত যাবে। তাইলেই বিলাত ফিরত। বিলাত ফিরত জামাই পাবেন আপনারা
সেকি সোজা কথা। তয় বিলাত
যাবার আগেই সেতো ইংরেজির জাহাজ। সেদিন হয়েছে এক মজা। সে বলেছে, বেকফাস্টো
আনো, আর ওয়াটর। তার মা এনে দিয়েছে মটর। আর বলেছে মটর চাইছ,
তা ঠিকই বুঝছি। বেকফাস্টো কি বুঝি নাই বাবা।
ছেলের
জেঠা ধমকে ঘটককে থামিয়ে দেয়। বলে মেলাই কথা হল। চুপ কর।
মেয়ের
বাবা জিজ্ঞাসা করে : আমরা সনাতন হিন্দু পেঁয়াজ-টেয়াজ খাইনা। ছেলেও না খেলে ভাল হয়।
ছেলে
জেঠা বলে
: না ছেলে পেঁয়াজ খায় না।
ঘটক : রোজ
রোজ তো খায় না। মাঝে মাঝে খায়।
মেয়ের
বাবা
: কেমন?
ঘটক : কাবাব-টাবাব যেদিন খায়, সেদিনই একটু আধটু পেঁয়াজ খায়।
মেয়ের
বাবা
: কাবাব-টাবাব আর পেঁয়াজ সবই খায়?
ঘটক : তা
কি আর সব দিন খায়! যেদিন একটু ডিংক টিংক করে সেই দিনই কাবাব-পেঁয়াজ এই সব লাগে।
মেয়ের
বাবাঃ সর্বনাশ! ছেলে ড্রিংকও করে?
ঘটক : ছেলে
বিলেত যাবেতো, তাই সাহেবি অভ্যাসটা রপ্ত করে যাচ্ছে। তানাহলে
যে পাঁড় বাঙ্গাল বলবে সাহেব সুবোরা।
মেয়ের
বাবা দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে বলেন : আপনারা এবার আসুন। এ বিয়ে হবে না।
No comments:
Post a Comment