আগের পর্ব (পর্ব ১ লিঙ্ক)
দি অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্যা ড্যান্সিং ম্যান – স্যার আর্থার কোনান ডয়েল – শার্লক হোমস সিরিজ - বাংলা অনুবাদ - The Adventure of the Dancing Men - Bengali Translation - Sir Arthur Ignatius Conan Doyle - Sherlock Holmes Series - part – 2
বলল, বুঝলে
ওয়াটসন,
এটি
একটি
টেলিগ্রাম।
এর
জবাব
যদি
আশানুরূপ
হয়,
তা
হলে
তুমি
আরেকটি
গল্পের
প্লট
পাবে।
দারুণ
ইন্টারেষ্টিং
গল্প।
রহস্য
উদ্ঘাটনের
জন্যে
হয়তো
কালই
আমাদের
নরফোকে
হানা
দিতে
হতে
পারে।
কৌতূহলে
ফেটে
যাচ্ছি
আমি।
তবু
ভাল
করেই
জানি,
সময়
না
হলে
অথবা
স্বেচ্ছায়
হোমস
না
বললে,
একটা
শব্দও
বের
করতে
পারব
না
ওর
পেট
থেকে।
সুতরাং
ধৈর্য
ছাড়া
গতি
নেই।
অধীর
প্রতীক্ষায়
কেটে
গেল
দুটো
দিন।
দ্বিতীয়
দিন
সন্ধে
বেলায়
এক
সঙ্গে
টেলিগ্রামের
জবাব
এবং
মি.
কিউবিটের
একটা
চিঠি
এল।
আবার
সেই
নাচুনে
মুর্তি।
টেলিগ্রামটা
পড়ে
এবং
নাচনে
মূর্তিগুলো
খুঁটিয়ে
দেখে
অস্থির
হয়ে
উঠল
হোমস।
উত্তেজিত
স্বরে
বলল,
ওঃ
ওয়াটসন,
এতদিন
দেরি
করে
ভীষণ
ভুল
করেছি।
দেখ
তো
নর্থ
ওয়ালস্যামের
কোনও
ট্রেন
আজ
রাতে
আছে
কিনা?
সময়
সূচীতে
দেখলাম,
শেষ
ট্রেনটা
চলে
গেছে
এই
মাত্র
।
‘আগামীকালের
প্রথম
ট্রেনটাই
আমরা
ধরব,’ বলল হোমস।
‘খবর
দুটো
পেয়ে,
বুঝেছ
ওয়াটসন,
ভারি
অস্থিরতাবোধ
করছি।
এটাকে
যতটা
ছেলেমানুষি
ভেবেছিলাম,
ততটা
তো
নয়ই,
বরং
বিপজ্জনক।
ভদ্রলোক
ভয়ঙ্কর
এক
বিপদের
জালে
জড়িয়ে
পড়েছেন।
শেষ
পর্যন্ত
চরম
ভয়ঙ্কর
ব্যাপারই
ঘটে
গেল।
এমন
একটা
ফালতু
ব্যাপারে
যে
এত
ভয়াবহ
পরিণতি
লুকিয়ে
ছিল,
তা
কেউ
কল্পনাও
করতে
পারিনি।
আমার
পাঠক-পাঠিকাকে
মধুর
পরিসমাপ্তি
উপহার
দিতে
পারলে
সত্যিই
খুশি
হতাম
আমি।।
নর্থ
ওয়ালস্যামে
নেমে
স্টেশন
মাস্টারকে
আমাদের
গন্তব্য
জিজ্ঞেস
করতেই
ভদ্রলোক
উত্তেজিত
কণ্ঠে
জিজ্ঞেস
করলেন,
আপনারা
নিশ্চয়ই
গোয়েন্দা?
লণ্ডন
থেকে
এসেছেন,
তাই
না?
‘আপনার
এমন
ধারণা
হবার
কারণ?’ বিরক্ত হয়ে
পাল্টা
প্রশ্ন
করল
হোমস।
‘মানে,
একটু
আগেই
নরউইচ
থেকে
ইন্সপেক্টর
মার্টিন
ওখানে
গিয়ে
পৌছেছেন
তো,
তাই
ভাবলাম।
ভদ্রমহিলা
এখনও
মারা
যাননি।
না
মরলেও
খুব
একটা
লাভ
তার
হবে
না।
স্বামী
হত্যার
অপরাধে
ফাসিতে
ওকে
ঝুলতেই
হবে।’
‘কী
ঘটেছে
রিডলিং
থর্প
ম্যানরে?’ উত্তেজিত কণ্ঠে
জিজ্ঞেস
করল
হোমস।
‘ব্যাপার
খুবই
ঘোরাল
রে
ভাই,'
রসিয়ে
রসিয়ে
বলতে
শুরু
করল
স্টেশন
মাস্টার।
ও
বাড়ির
চাকরের
কাছেই
সব
শুনলাম।
মিসেস
কিউবিট
গুলি
করে
প্রথমে
স্বামীকে
হত্যা
করেন।
তারপর
ওই
একই
রিভলভারের
গুলিতে
নিজেও
আত্মহত্যা
করার
চেষ্টা
চালান।
আহা,
খুবই
দুঃখজনক
ঘটনা।
এতবড়
বনেদি
বংশের
সম্মান
আজ
পথের
ধুলোয়
লুটিয়ে
গেল।’
আর
এক
মুহূর্ত
সময়
নষ্ট
না
করে
ভাড়াটে
গাড়িতে
চেপে
বসলাম
আমরা।
পথে
একটি
কথাও
বলল
না
হোমস।
ভীষণ
মুষড়ে
পড়েছে
বেচারা। অহেতুক
দেরি
করার
জন্য
হয়তো
নিজেকেই
দোষী
করছে।
অনুশোচনায়
দগ্ধ
হচ্ছে।
চারপাশে
অপরূপ
মনোমুগ্ধকর
দৃশ্য;
তবু
কোনওদিকেই
নজর
নেই
ওর।
কোনও
ভাবনার
জগতে
যেন
তলিয়ে
গেছে
সে।
পথের
দু’পাশে
সারি
সারি
গাছ।
দূরে
গাঢ়
সবুজ
মাঠ।
মাঝে
মাঝে
ছোট্ট
কুটির
আর
পুরাকালীন
ঐতিহ্যের
সাক্ষী
ভবনের
চুড়া। এক
সময়
ছবির
মত
ভেসে
উঠল
সমুদ্রের
সেই
বেগুনী
সৈকত
রেখা।
অদ্ভুত
সুন্দর
নরফোকের
এই
শ্যামলী
উপকূল
। ঘন
সবুজের
মধ্যে
মাথা
তুলে
দাঁড়িয়ে
আছে
ইট-কাঠের
কারুকাজ
করা
পুরানো
আমলের
দুটি
খিলান।
আঙুল
দিয়ে
দেখিয়ে
কোচোয়ান
বলল,
ওই,
ওটাই
রিডলিং
থর্প
ম্যানর।
গেট
দিয়ে
গাড়ি
ঢুকতেই
চোখে
পড়ল,
অদ্ভুত
এই
কাহিনির
সঙ্গে
যুক্ত
সেই
যন্ত্রপাতি
রাখার
ঘর
আর
উঁচু
বেদীওলা
সূর্য
ঘড়িটা।
পাশেই
টেনিস
কোর্ট।
বেঁটেখাটো
চটপটে
চেহারার
এক
লোক
আমাদের
দেখেই
এগিয়ে
এল।
তার
বড়
গোঁফের
ডগা
মোম
দিয়ে
পাকানো। ভদ্রলোক
নিজেই
সাড়ম্বরে
নিজের
পরিচয়
দিলেন,
নরফোক
কন্সট্যাবিউলারির
ইন্সপেক্টর
মার্টিন।
শার্লক
হোমসের
নাম
শুনেই
চুপসে
গেলেন
তিনি।
অবাক
স্বরে
জিজ্ঞেস
করলেন,
মি.
হোমস,
খুন
হয়েছে
রাত
তিনটায়,
লণ্ডনে
বসে
তাড়াতাড়ি
আপনি
খবর
পেলেন
কী
করে?
‘এমন
একটা
ঘটনা
যে
ঘটতে
পারে,
তা
আমি
আগেই
অনুমান
করেছিলাম।
সে
জন্যেই
এখানে
আসা।
তবে
এত
তাড়াতাড়ি
যে
ঘটে
যাবে
আশা
করিনি।’
‘আপনি
দেখি
অনেক
খবরই
রাখেন,
মি.
হোমস,
একটু
খোচা
দিয়ে
বললেন
ইন্সপেক্টর।
‘খবর
বলতে
তো
শুধু
একটাই
পেয়েছি।
তা
ওই
নাচুনে
মূর্তি,’ গভীরভাবে বলল
হোমস।
‘আর
তাতেই
বুঝেছি
অনেক
কিছু।’
‘নাচুনে
মূর্তি!
সেটা
আবার
কী?’
‘পরে
বলব।
যা
হবার
তা
তো
হয়েই
গেছে।
খুনটা
ঠেকাতে
পারলাম
না
বলে
ভীষণ
দুঃখ
হচ্ছে।
এখন
পুরো
ব্যাপারটার
যাতে
যথাযথ
ব্যাখ্যা
এবং
সুবিচার
হয়,
তার
ব্যবস্থা
করতে
চাই
আমি।
তদন্তে
কি
আপনি
আমার
সহযোগিতা
চান,
নাকি
নিজের
পদ্ধতি
অনুযায়ী
স্বাধীনভাবে
কাজ
করতে
চান,
আগে
এটা
জানতে
চাই!’
‘আপনার
সাথে
কাজ
করতে
পারলে
খুশি
হব,
মি,
হোমস,’ আন্তরিকভাবে বললেন
ইন্সপেক্টর
মার্টিন।
‘তা
হলে
চলুন
সাক্ষ্য-প্রমাণের
কাজটা
আগে
সেরে
ফেলি,’ বলল হোমস।
‘তারপর
বাড়িটা
ঘুরে
দেখা
যাবে।
বুদ্ধিমান
ইন্সপেক্টর
বুঝলেন
হোমস
থাকতে
তার
করণীয়
কিছুই
নেই।
হোমসকে
তিনি
খুশিমত
কাজ
করতে
দিয়ে
নিজে
শুধু
ফলাফল
টুকুই
টুকে
নিতে
থাকলেন।
আমাদের
আসার
খবর
পেয়ে
মিসেস
কিউবিটের
কামরা
থেকে
বেরিয়ে
এলেন
বৃদ্ধ
সার্জন।
জানালেন,
মিসেস
কিউবিট
গুরুতর
আহত
হলেও
বাঁচার
সম্ভাবনা
আছে।
জ্ঞান
এখনও
ফেরেনি।
ফিরতে
দেরি
হবে।
ভদ্রমহিলাকে
গুলি
করা
হয়েছে
নাকি
নিজেই
আত্মহত্যা
করতে
চেয়েছেন
তা
বোঝা
যাচ্ছে
না।
তবে
গুলিটা
ছোঁড়া
হয়েছে
খুব
কাছ
থেকে।
ঘরের
মেঝেয়
পাওয়া
গেছে
রিভলভার।
ওটার
দুটো
ঘর
খালি।
মি.
কিউবিটের
হৃৎপিণ্ড
এফোঁড়
ওফোঁড়
হয়ে
গেছে।’
‘মি.
কিউবিটের
মৃতদেহ
কি
সরান
হয়েছে?’ জিজ্ঞেস করল
হোমস।
‘না।
মিসেস
কিউবিটকে
শুধু
তার
ঘরে
সরিয়ে
নেয়া
হয়েছে।
এ
ছাড়া
কিছুতেই
হাত
দেয়া
হয়নি,’ বললেন ডাক্তার।
‘আহত
ব্যক্তিকে
তো
আর
ওভাবে
ফেলে
রাখা
সম্ভব
নয়।’
‘না।
ঠিকই
করেছেন।
আচ্ছা,
ডাক্তার
সাহেব,
আপনি
কখন
এসেছেন
এ
বাড়িতে?’
‘ভোর
চারটায়।’
‘আর
কেউ
আছে
এখানে?’
‘একজন
কন্সটেবল.আছে।’
‘আপাকে
ডেকে
এনেছিল
কে?’
‘স্যাণ্ডার।
এ
বাড়ির
পরিচারিকা।
ঘটনাটা
কি
সে-ই
প্রথমে
দেখেছিল?’
‘রাঁধুনী
মিসেস
কিং
আর
সে।’
‘ওরা
এখন
কোথায়?’
‘বোধহয়
রান্নাঘরেই
আছে।’
‘ইন্সপেক্টর,
ওদের
ডেকে
পাঠান,’ ইন্সপেক্টরকে বলল
হোমস।
উঁচু
উঁচু
জানালা
আর
কড়িকাঠের
দেয়ালওলা
হলঘরটাকে
জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য
অস্থায়ী
দপ্তর
হিসেবে
বেছে
নিল
হোমস।
জিজ্ঞাসাবাদের
সময়
হোমস
আর
আমি
ছাড়াও
উপস্থিত
রইলেন
ইন্সপেক্টর
মার্টিন,
ডাক্তার
আর
স্থানীয়
একজন
কন্সটেবল।
জেরার
জবাবে
একই
কাহিনি
শোনাল
মহিলা
দুজন।
পরপর
দুটো
গুলির
শব্দে
ঘুম
ভেঙে
যায়
দুজনেরই।
পাশাপাশি
ঘরে
ঘুমোয়
তারা।
মিসেস
কিংই
প্রথম
স্যাণ্ডারের
ঘরে
ছুটে
আসে।
দু’জনেই
একসাথে
বাইরে
বেরিয়ে
এসে
দেখে,
পড়ার
ঘরের
দরজা
হাট
করে
খোলা।
ভিতরে
টেবিলের
ওপর
মোমবাতি
জ্বলছে।
মেঝেতে
মুখ
থুবড়ে
পড়ে
আছেন
মি.
কিউবিট।
জানালার
সামনে,
দেয়ালের
কাছটাতে
পড়ে
আছেন
মিসেস
কিউবিট।
রক্তে
ভেসে
যাচ্ছে
ঘরের
মেঝে,
ধোয়া
আর
বারুদের
গন্ধে
দম
বন্ধ
করা
অবস্থা।
দুজনেই,
জোর
দিয়ে
বলল,
জানালাটা
ভিতর
থেকেই
বন্ধ
ছিল।
সাথে
সাথে
তারা
থানায়
এবং
ডাক্তারকে
খবর
দেয়।
এমনটি
কেন
ঘটল
তারা
কল্পনা
করতে
পারছে
না।
মি.
এবং
মিসেস
কিউবিটকে,
তারা
কখনোই
ঝগড়া
করতে
দেখেনি।
তাদের
দাম্পত্য
জীবন
ছিল
খুবই
সুখের,
গভীর
দুঃখ
সহকারে
জানাল
তারা।
ডাক্তার
এসে
দুজনকে
পরীক্ষা
করে
দেখার
পর
মিসেসকে
শোবার
ঘরে
নিয়ে
যেতে
বলেন।
ইন্সপেক্টর
মার্টিনও
এসে
সব
ঘরের
জানালা
ভিতর
থেকে
বন্ধ
দেখতে
পান।
অর্থ
দাঁড়াল,
কেউ
বাইরে
থেকে
ভিতরে
ঢোকেনি
কিংবা
ভিতর
থেকে
বাইরে
যায়নি।
‘মহিলা
দুজন
নীচে
নেমে
বারুদের
গন্ধ
পায়।
ব্যাপারটা
গুরুত্বপূর্ণ,
ইন্সপেক্টর,
পয়েন্ট
আউট
করুন,’ বলল হোমস।
‘চলুন,
এবার
ঘরটা
পরীক্ষা
করে
দেখি।’
পড়ার
ঘরটা
মাঝারি
আকারের।
তিন
পাশের
দেয়ালের
তাক
বইয়ে
ঠাসা।
টেবিলের
সামনে
জানালা।
স্পষ্ট
দেখা
যায়
বাগানটা।
প্রথমেই
দৃষ্টি
চলে
গেল
রক্তে
মুখ
থুবড়ে
পড়ে
থাকা
মি.
কিউবিটের
বিশাল
শরীরের
দিকে।
অবিন্যস্ত
রাতের
পোশাক
দেখে,
মনে
হলো
বেচারা
দ্রুত
বিছানা
থেকে
উঠে
এসেছিলেন।
গুলিটা
ছোড়া
হয়েছে
সামনে
থেকে।
সাথে
সাথেই
যে
মারা
গেছেন
তা
দেখেই
বোঝা
গেল।
‘গুলিটা
ওর
দেহের
ভেতরেই
আছে,’ বললেন ডাক্তার।
ওর
হাতে
কিংবা
পোশাকে
কোথাও
বারুদের
চিহ্ন
নেই।
মিসেস
কিউবিটের
মুখে
বারুদের
চিহ্ন
থাকলেও,
হাতে
নেই।’
‘চিহ্ন
থাকা
না
থাকা
দিয়ে
কিছুই
প্রমাণিত
হয়
না,’ হোমস বলল।
‘ইন্সপেক্টর,
মৃতদেহটা
এখন
সরান
যেতে
পারে।’
‘ডাক্তার
সাহেব,
মিসেস
কিউবিটের
গুলিটাও
নিশ্চয়
ভিতরেই
আছে?’ ডাক্তারকে জিজ্ঞেস
করল
হোমস
।
‘হ্যা।
বড়
ধরনের
অস্ত্রোপচার
করে
বের
করতে
হবে
ওটা।
মাথা
তো। এখানে
সম্ভব
নয়।
রিভলভারে
গুলি
রয়েছে
চারটা,
এরপর
মিনমিন
করে
বলতে
শুরু
করলেন
ডাক্তার,
অর্থাৎ
ছোড়া
হয়েছে
দুটো।
ক্ষতচিহ্নও
দুটো।
কাজেই
অনুমান
করা
খুবই
সহজ
যে...’
‘থামুন,
থামুন,
ও
হিসেব
আর
দিতে
হবে
না,
ডাক্তারকে
বাধা
দিল
হোমস।
বরং
জানালায়
যে
গুলিটা
লেগেছে
সেটার
হিসাব
দিন,
ডাক্তার
সাহেব।’
হোমসের
কথায়
ঝট
করে
তার
দিকে
ফিরে
তাকালাম
সবাই।
আঙুল
তুলে
দেখাল
সে,
জানালার
চৌকাঠ
থেকে
ছয়
ইঞ্চি
মত
ওপরে
একটা
পরিষ্কার
ফুটো।
‘হায়
ঈশ্বর!
চিৎকার
করে
উঠলেন
ইন্সপেক্টর।
আপনি
ঠিকই
দেখতে
পেলেন
অথচ
আমাদের
কারও
চোখেই
পড়ল
না!’
‘আমি
যে
এটাই
খুঁজছিলাম।’
‘আশ্চর্য!’ অবাক কণ্ঠে
বললেন
ডাক্তার।
তা
হলে
গুলি
ছোঁড়া
হয়েছে
তিনটা।
তারমানে,
লোক
ছিল
তিনজন।
কে
সেই
তৃতীয়
ব্যক্তি,
মি.
হোমস?
আর
কী
করেই
বা
সে
এখান
থেকে
হাওয়া
হলো?’
‘সেটাই
বের
করতে
হবে,
রহস্যময়
হাসি
হেসে
বলল
হোমস।
মহিলা
দুজন
বেরিয়েই
যে
বারুদের
গন্ধ
পেয়েছিল,
পয়েন্ট
আউট
করতে
বলেছিলাম
মনে
আছে,
মি
মার্টিন?’
‘আছে।
কিন্তু
এতেও
তো
আমি
কিছুই
বুঝতে
পারছি
না।’
‘সহজ।
গুলি
ছোড়ার
সময়
পড়ার
ঘরের
দরজা-জানালা
সবই
খোলা
ছিল।
না
হলে
ধোয়া
বারুদের
গন্ধ
এত
দ্রুত
বাড়ির
ভেতরে
ঢুকতে
পারত
না।
অবশ্য
জানালাটা
খোলা
হয়েছিল
খুব
অল্প
সময়ের
জন্য।’
‘এ
ধারণার
পক্ষে
কি
কোনও
প্রমাণ
আছে?’ জিজ্ঞেস করলেন
ইন্সপেক্টর।
‘নিশ্চয়ই,
জানালা
খোলা
থাকলে
মোমবাতি
নিভে
যেত
বাতাসে।’
‘তাই
তো!
সত্যি,
মি.
হোমস,
আপনার
বুদ্ধির
কোনও
তুলনা
নেই।’
‘দুর্ঘটনার
সময়
জানালা
খোলা
ছিল,
এ
ব্যাপারে
নিশ্চিত
হওয়ার
পরই
আমি
ধরে
নিলাম;
তৃতীয়
কোনও
ব্যক্তি
ছিল,
যে
খোলা
জানালার
বাইরে
দাঁড়িয়ে
গুলি
ছুঁড়েছে।
সেই
থেকে
খুঁজতে
শুরু
করলাম
তৃতীয়
কোনও
চিহ্ন।
পেয়েও
গেলাম।’
‘কিন্তু
জানালাটা
ভিতর
থেকে
বন্ধ
করল
কে?’ জিজ্ঞেস করলেন
ইন্সপেক্টর।
‘মিসেস
কিউবিট,’ বলে টেবিলের
দিকে
চোখ
পড়তেই
অবাক
হয়ে
জিজ্ঞেস
করল
হোমস,
‘আরে, এটা
আবার
কী?
মনে
তো
হচ্ছে
মেয়েদের
হাতব্যাগ।’
কুমিরের
চামড়ার
ওপর
রুপোর
কারুকাজ
করা
হাতব্যাগটি
খুলে
টেবিলের
ওপর
উপুড়
করে
দিল
হোমস।
মোড়ানো
বিশটা
পঞ্চাশ
পাউণ্ডের
নোট
ছাড়া
আর
কিছুই
পাওয়া
গেল
না
ওটাতে।
নোটগুলো
আবার
ব্যাগে
ভরে
ইন্সপেক্টরের
হাতে
দিয়ে
বলল
হোমস,
রাখুন,
বিচারের
সময়
লাগতে
পারে।
মিসেস
কিংকে
আবার
একটু
ডাকুন।’
‘মিসেস
কিং,
শুধু
একটি
প্রশ্নের
জবাব
দিন
তো,
মিসেস
কিং
আসতেই
প্রশ্ন
শুরু
করল
হোমস,
তখন
বললেন
না
গুলির
প্রচণ্ড
শব্দে
ঘুম
ভেঙে
যায়
আপনার,
তার
মানে
দ্বিতীয়
শব্দটার
চেয়ে
প্রথমটা
বেশি
জোরাল
ছিল?’
‘শব্দে
ঘুম
ভেঙে
গেল।
কিন্তু
কোনটা
বেশি
তা
বলতে
পারব
না।’
‘আপনার
কি
মনে
হয়,
দুটো
গুলি
একই
সঙ্গে
ছোড়া
হয়েছিল?’
‘ঠিক
বলতে
পারব
না।’
‘ঠিক
আছে
মিসেস
কিং,
আপনি
এখন
যেতে
পারেন।
চলুন,
মি.
মার্টিন,
বাগানটাতে
ঘুরে
আসি
একবার।’
পড়ার
ঘরের
জানালার
নীচের
ফুলের
ঝোপটা
দেখে
স্তম্ভিত
হয়ে
গেলাম
সবাই।
নির্মমভাবে
যেন
পায়ে
ডলে
গিয়েছে
ফুলের
গাছগুলো। নরম
মাটিতে
পড়েছে
পায়ের
ছাপ।
লম্বা,
পুরুষের
পা,
সামনের
দিকটা
একটু
ছুঁচালো। চারপাশ
তন্নতন্ন
করে
কী
যেন
খুঁজতে
লাগল
হোমস।
খানিক
বাদে
উৎফুল্ল
মুখে
ফিরে
এল।
হাতে
একটা
কার্তুজের
খোল।
‘হু,
যা
ভেবেছিলাম
তাই,’ গম্ভীর মুখে
বলল
সে।
‘ইজেক্টরই
লাগানো
ছিল
রিভলভারটায়।
নিন,
ইন্সপেক্টর,
আপনার
তিন
নম্বর
কার্তুজ।
আমার
কাজ
প্রায়
শেষ।’
হোমসের
অতি
দ্রুত
অথচ
আশ্চর্য
নিপুণ
কর্মতৎপরতা
দেখে
একেবারে
মুগ্ধ
হয়ে
গেলেন
ইন্সপেক্টর
মার্টিন।
অভিভূত
কণ্ঠে
বললেন,
আপনি
কাকে
সন্দেহ
করছেন,
মি.
হোমস?
‘ছোটখাট
দু'একটি
ব্যাপার
এখনও
ক্লিয়ার
হয়নি।
তবে
যতটুকু
জেনেছি
তা
দিয়ে
ঘটনাটার
একটা
ব্যাখ্যা
দাঁড়
করাতে
পারি।
তবু
অস্পষ্ট
ব্যাপারগুলো
পরিষ্কার
করে
নিতে
চাই।’
‘ঠিক
আছে,
আপনি
যা
ভাল
বোঝেন
করেন,
আমার
শুধু
খুনীটাকে
পেলেই
হলো।’
‘শিগগিরই
পাবেন।
শুধু
একটা
জিনিস
জানতে
চাই,
কাছাকাছি
কি
এলরিজ
নামে
কোনও
সরাইখানা
আছে?’
প্রত্যেককেই
জিজ্ঞেস
করলেন
ইন্সপেক্টর।
না,
ওই
নামের
কোনও
সরাইখানাই
নেই।
আস্তাবলের
ছেলেটা
শুধু
জানাল,
ওই
নামের
একজন
চাষী
আছে।
‘কোথায়
থাকে
সে?’
হোমসের
কণ্ঠে
উত্তেজনা।
‘মাইল
দুয়েক
দূরে,
ইস্ট
রাস্টনের
দিকে।
‘ওর
খামার
বাড়িটা
কি
খুব
নির্জন?’
‘হ্যা,
খুবই
নির্জন?’
‘রাতে
এখানে
যা
ঘটেছে,
ওখানে
কি
সে
খবর
পৌঁছে
গেছে
এতক্ষণে?’
‘খুব
সম্ভব
না।’
একটু
চুপ
থাকার
পর
হোমস
ছেলেটিকে
বলল,
ঘোড়ায়
জিন
চাপিয়ে
এক্ষুণি
তৈরি
হয়ে
নাও।
একটা
চিঠি
দেব
তোমাকে,
ওটা
নিয়ে
যাবে
এলরিজের
খামার
বাড়িতে।
এবার
পকেট
থেকে
বের
করল
সেই
নাচুনে
মূর্তির
কাগজগুলো। ওগুলো
টেবিলের
ওপর
বিছিয়ে,
কী
যেন
লিখতে
শুরু
করল
গভীর
মনোযোগের
সাথে।
আস্তাবলের
ছেলেটা
তৈরি
হয়ে
আসতেই
তার
হাতে
লেখা
কাগজটি
দিল
হোমস।
এবং
খুব
করে
সতর্ক
করে
দিল,
চিঠির
ওপরে
লেখা
নামের
লোকটিকেই
যেন
সে
চিঠিটি
দেয়।
ঠিকানাটা
দেখলাম
আমি;
অ্যাবে
স্লানি,
এলরিজের
খামার
বাড়ি,
ইস্ট
রাস্টন,
নরফোক।।
ছেলেটি
বেরিয়ে
যাবার
আগেই
হোমস
বললেন,
‘মি. মার্টিন, আমার
অনুমান
সত্যি
হলে,
খুব
বিপজ্জনক
একটা
লোককে
পাকড়াও
করতে
হবে
আপনাকে।
অবশ্যই
সহকারী
লাগবে।
হেডকোয়ার্টারে
একটা
টেলিগ্রাম
করে
দিন।
এলরিজের
খামার
বাড়িতে
যাবার
পথে
এই
ছেলেটিই
ওটা
ডাকে
ফেলে
যাবে।’
এরপর
আমাকে
বলল,
‘ওয়াটসন, দেখ
তো,
লণ্ডনে
ফেরার
বিকেলে
কোনও
ট্রেন
আছে
কি
না?
আজই
ফিরতে
চাই।
জরুরি
একটা
রাসায়নিক
বিশ্লেষণের
কাজ
শেষ
করতে
হবে
আমাকে।’
No comments:
Post a Comment