একটি ট্রাজি-কমিক গল্প - মজার গল্প – হাসির গল্প – ছোট গল্প |
এটি
এক প্রাচীন জমিদার বাড়ির গল্প। জমিদার থাকেন
গ্রামের জমিদার বাড়িতে। তার আদরের একমাত্র পুত্র থাকে শহরে। তবে মাঝে মধ্যেই গ্রামের
বাড়িতে যায় ছুটিছাটায়। মা-বাবা ছাড়াও তার দাদীমা আছে। দাদীমার বড়
আদরের নাতি সে। বাড়ির পশুপাখিও তার খুব প্রিয়—বিশেষ করে ঘোড়া
আর কুকুর। তো, ছেলেটি জমিদার পুত্র হলেও ছিল সৎ, পরিশ্রমী
ও ভদ্র। এসব গুণ ছাড়াও সে ছিল মেধাবী ছাত্র। মেধার গুণে বিদেশে
পড়ার জন্য সরকারি বৃত্তি পেয়েছিল। বৃত্তি নিয়ে সে লন্ডনে যায় ব্যারিস্টারী পড়তে। কয়েক বছর পড়ে ছেলেটি ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফেরে। আগেই দেশে
ফেরার খরব সে তার বাবাকে জানিয়েছিল।
বাবা
অসুস্থ,
প্রায় চলচ্ছক্তিহীন, মনও ভাল নেই। তাই
তিনি ছেলেকে রিসিভ করতে শহরে যেতে পারেননি। ম্যানেজারকে পাঠিয়েছেন। জমিদারের ছেলেকে
বিমান বন্দরে আনুষ্ঠানিক উষ্ণতায় রিসিভ করলেন ম্যানেজার। বিমান থেকে নেমেই ছেলে মা-বাবা
ঠাকুমা সবার খোজ-খবর জিজ্ঞাসা করে।
ম্যানেজার
সংক্ষিপ্ত উত্তর দেন : কুকুরটা মারা গেছে।
জমিদার
পুত্রের খুব প্রিয় কুকুর ছিল ওটি। ছেলেটি খুবই
দুঃখিত হয়। ম্যানেজার কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন।
তাপর
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেনঃ কুকুরটারই বা দোষ কি – ঘোড়াটা মরে গেল--তার পচা মাংস খেয়েই কুকুরটা মরলো।
জমিদারপুত্র
হায় হায় করে ওঠে বলেঃ আমার প্রিয় ঘোড়াটাও মরে গেছে!
ম্যানেজার
আবার চুপ করে থাকেন, কিছুক্ষণ পরে বলেন,“ঘোড়াটারই বা
দোষ দেই কেমন করে! বাড়ির বড়মা হঠাৎ অসুখে পড়ে মারা গেলেন। তাঁর
কূলখানির জিনিসপত্র আর মালামাল শহরে থেকে সাতদিন ধরে টেনে আনতে যে ধকল গেল হল তা সইতে
না পেরে ঘোড়াটিও মরল।
জমিদারপুত্র
আঁৎকে উঠে। চিৎকার করে
বলেঃ ঠাকুমাও বেঁচে নেই! হায় হায়—এ কি খবর শোনালেন
ম্যানেজার বাবু!
No comments:
Post a Comment