![]() |
বুদ্ধির দোষে - মজার গল্প – হাসির গল্প – ছোট গল্প |
বুদ্ধির দোষে - মজার গল্প – হাসির
গল্প – ছোট গল্প
এক লোক মামলায় পড়ে বড় বিপদে আছে। তো মুশকিল আসানের জন্য সে এক ঘোড়েল মামলাবাজকে
ধরল।
মামলাবাজ মামলার বৃত্তান্ত শুনে বলেঃ এ কোনো মামলাই না। এমন প্যাচ কষবো যে, ফরিয়াদির উকিল চোখে অন্ধকার দেখবে। তুমি নিশ্চিন্তে থাক। ধরে নাও এ মামলা
ডিসমিস হয়ে গেছে।
মামলাবাজ ধূর্ত শিরোমণির কথা শুনে আসামীর প্রাণে পানি আসে। মার্ডার কেস—সে হুকুমের
আসামী,
তার চিন্তা তো হবেই। তো, ধূর্ত
মামলাবাজের আশ্বাস ও অভয়ে সে কিছু টাকা আর নজরানা হিসাবে কিছু
শৌখিন জিনিস রেখে চলে যায়। মামলা চলে। মামলাবাজ এক উকিল রেখেছে। কিন্তু তার তেমন ধার বা ভার নাই। মামলাবাজের সঙ্গে শুজুর গুজুর
ফুসুর ফুসুর করে কিন্তু হাকিমের সামনে মিউমিউ করে। ফলে মামলায় তার হার হয়।
সে মামলাবাজকে ধরে বলেঃ আমার তো যাবজ্জীবন হয়ে গেল। আপনি বল্লেন, এ মামলা
ডিসমিস হবেই।
মামলাবাজঃ আরে ভাই, উকিলেরও দোষ নাই। আমারও না। দেখ না রোগী এক
রোগ নিয়া হাসপাতালে যায়, ডাক্তারের চিকিৎসায় ভালও হতে থাকে। তারপর হঠাৎ হার্টফেলে মারা যায়। তার দোষ কি ডাক্তারের? তোমার মামলারও তেমনি হয়েছে। মামলায় আমরা হারিনি।
লোকটিঃ কেমন?
মামলাবাজঃ হাকিম রায় দেন তিনটা বিষয় দেখে। এক. অবস্থাগত বিবরণমূলকতা-নির্ভর অনুমান; দুই. সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং তিন, স্বীকারোক্তি। তো, তোমার মত নূরানী চেহারা,
সুন্দর দাড়ি আর মাথায় টুপি দেখে হাকিম অনুমান ঠিকই করেছিলেন যে,
তুমি নির্দোষ। কিন্তু শুধু
অনুমান দিয়ে তো রায় হয় না। দ্বিতীয় হল প্রমাণ। সাক্ষ্য-প্রমাণ
বলল- তোমার খুবসুরত চেহারার আড়ালে একটা খুনীর মন আছে। আমাদের
উকিল অনেক চাপাবাজি করেও উল্টোটা প্রমাণ করতে পারল না। আর তোমার পক্ষের মূল আসামীর
স্বীকারোক্তিও তোমার বিপক্ষে গেল। সে কি মিথ্যা বলতে পারত না! তাহলেই তুমি খালাস পাও। কাজটা করালে- কিন্তু এমন
ধর্মপুত্র (সত্যবাদী) দিয়ে কি কেউ খুনের মত বিপজ্জনক কাজ
করায়? তোমার একেবারেই সংসারবুদ্ধি নাই। যাক, যাবজ্জীবন মানে তো মাত্র চৌদ্দ বছর। বেরিয়ে এসে এমন লোক দিয়ে এ ধরনের
কাজ আর করিও না। বুদ্ধির দোষে তুমি ফেঁসে গেলে।
No comments:
Post a Comment